সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে দেশব্যাপী রেল অবরোধ কর্মসূচি এই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হয় গত ১৮ অক্টোবর। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যার দায়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বাতিল, এমএসপি আইন চালু করা প্রভৃতি দাবিতে রেল অবরোধ করা হয়। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের পার্শ্ববর্তী রেল লাইন ও জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন, বাঁকুড়ার ওন্দা রেল স্টেশন, বর্ধমানের শক্তিগড় স্টেশন, নদীয়ার কৃষ্ণনগর স্টেশন, উত্তর ২৪ পরগণার হৃদয়পুর সহ অন্যান্য জেলার বিভিন্ন রেল স্টেশনে অবরোধ হয়। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও বিভিন্ন কৃষক সংগঠন ও অন্যান্য গণসংগঠনের কর্মীরা যৌথভাবে অবরোধে অংশগ্রহণ করেন। এক ঘণ্টা বা তার কাছাকাছি সময়ব্যাপী অবরোধ চলে। রেলযাত্রী সহ ব্যাপক মানুষ অন্নদাতাদের দাবিগুলির প্রতি সহমর্মিতা জানায়। সারা ভারত কিষাণ মহাসভার পক্ষ থেকে বলা হয় মোদী সরকার যদি কৃষি আইন খারিজ না করে তাহলে দেশের কৃষক ও সর্বস্তরের মানুষ অদুর ভবিষ্যতে মোদী সরকারকেই খারিজ করে দেবে। দীর্ঘ দশ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর দিল্লীর কৃষক আন্দোলন আজ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং দেশের কৃষি ও সরকারি ক্ষেত্রে কর্পোরেটের দখলদারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এক রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আন্দোলনকারী কর্মীরা বেশি বেশি সংখ্যায় ও স্থানে পথে নামছেন। এরফলে একেবারে নীচুতলায় কৃষক আন্দোলনের বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে, সেটা ব্যাপক মানুষের সমর্থন লাভ করছে। চলমান আন্দোলন বিজেপি-আরএসএস’এর ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে কৃষকের সংগ্রামী একতার বার্তা তুলে ধরেছে।
আগামীদিনে মোদী সরকারের দেশ বিক্রির নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, তিন কৃষি আইন ও শ্রম কোড বাতিলের দাবিতে রাজ্যের ব্লকে ব্লকে পদযাত্রা ও প্রতিটি জেলার গ্রামে গঞ্জের শতাধিক স্থানে প্রচার সভা করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কিষাণ মহাসভার নেতৃবৃন্দ।