ঘটনা ও প্রবণতা : অপশাসনে পয়লা নম্বরে যোগীর রাজ্য
The state of Yogi

কয়েক মাস পরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নতুন এক শিরোপা অর্জন করে নিল যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্যের বিজেপি সরকার। বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার সমীক্ষায় বড় রাজ্যগুলিতে অপশাসনের যে ক্রম প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সবার প্রথমে ঠাঁই করে নিয়েছে যোগীর উত্তরপ্রদেশ। এই তালিকায় সবার শেষে স্থান হয়েছে কেরলের।

বেঙ্গালুরুর সংস্থা ‘পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেন্টার’ (পিএসি) নানারকম মাপকাঠিতে ১৮টি বড় রাজ্যের সরকারের প্রশাসনিক সাফল্য মেপেছে। সবচেয়ে কম নম্বর পাওয়া রাজ্য সরকারকে অপশাসনের তালিকার এক নম্বরে রাখা হয়েছে। এই স্থানটি অর্জন করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এই মাপকাঠিকে বলা হচ্ছে ‘পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ইনডেক্স’। গত পাঁচ বছর ধরেই এই তালিকা প্রকাশ করছে সংস্থাটি। উত্তরপ্রদেশের অবস্থা খুব ভল কখনই ছিল না এই পাঁচ বছরে। কিন্তু এবার তারা সবার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬-তে প্রথম তালিকা তৈরির সময়ে যোগীর রাজ্যের ক্রম ছিল ১২। সেবার ১৭টি রাজ্যকে ধরা হয়েছিল, বাদ ছিল তেলঙ্গানা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশেরও পিছনে ছিল মধ্যপ্রদেশ, অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও বিহার। ২০১৯ সাল থেকে মাপকাঠিতে কিছু পরিবর্তন করেছে পিএসি। সংস্থার দাবি, এরফলে সমীক্ষার কাজ আরও নিখুঁত হয়েছে। সুশাসনের তালিকায় প্রথমে রয়েছে বাম শাসিত রাজ্য কেরল। কিন্তু যেসব রাজ্য উত্তরপ্রদেশের পিছনে ছিল, বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশা উন্নতি করে বেশি নম্বর আদায় করে নিয়েছে। যোগীর রাজ্য সেক্ষেত্রে চলে গিয়েছে সবার পিছনে। নির্বাচনের মুখে উত্তরপ্রদেশ সরকার যখন প্রচারের ঢাক বাজানো শুরু করে দিয়েছে, দেশব্যাপী বিজেপি’র প্রচারযন্ত্র উচ্চকিত স্বরে বলতে শুরু করেছে — পিছিয়ে পড়া রাজ্যটির ভোল বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ, সেই সময়ে পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেন্টারের এই সমীক্ষার রিপোর্টটি শাসক দলের পক্ষে হজম করা শক্ত হবে।

- আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ নভেম্বর ২০২১

খণ্ড-28
সংখ্যা-39