শোক সংবাদ
শোকসংবাদ
Mourning 2 comrades

কমরেড বীরেন রায় প্রয়াত

biren roy

৭ ডিসেম্বর ভোর আনুমানিক ৩টের সময় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের ১নং গৌড়গ্রামের দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা কমরেড বীরেন রায় প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। পার্টি সদস্য বীরেন রায় ময়নাগুড়ি লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ৭০ দশকে পার্টির গোপন অবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলেন। গ্রামে সংঘর্ষের সময় তিনি আধা-সামরিক বাহিনীর গুলিতে আহত হয়েছিলেন। শেষদিকে অসুস্থ থাকলেও তাঁর বাড়িতে সমস্ত মিটিং হোত। বাড়ি ছিল সবার আশ্রয়স্থল। ময়নাগুড়িতে ফ্যাসিবাদী বিজেপি’র বিরুদ্ধে লালঝান্ডা হাতে নিয়ে বীরেনদা সমস্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। তাঁর প্রয়াণ হওয়ার আগেরদিন পার্টির ময়নাগুড়ি লোকাল সম্মেলন ছিল। পরদিন গ্রামের সমস্ত মানুষ ও পার্টি নেতৃবৃন্দ তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকযাত্রায় সামিল হন।

কমরেড বীরেন রায় লাল সেলাম।


কমরেড কণা সরকার প্রয়াত

গত ২৪ ডিসেম্বর বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেত্রী কমরেড কণা সরকার পুর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের জৌগ্রামে নিজের বাসভবনে ভোররাতে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বয়স জনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন মহিলা আন্দোলন ও সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জন্মলগ্ন থেকেই কণা সরকার যুক্ত ছিলেন। তিনি আয়ারলার জাতীয় কাউন্সিল সদস্য ছিলেন, দীর্ঘদিন রাজ্য কমিটির সদস্যা ছিলেন। তাছাড়া পার্টির জামালপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক হিসেবে সংগঠকের ভুমিকা পালন করতেন। গরিব মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানে এলাকায় সব সময়ই সক্রিয় ভুমিকা পালন করতেন। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর স্বামী রেলের কর্মী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে রেলের চাকরি পায়। জৌগ্রাম রেলস্টেশন সংলগ্ন রেল কোয়ার্টারের পাশে একটা ঘর করে একাই থাকতেন। সেই ঘরটি ছিল পার্টির অফিসের মতো। পার্টির লোকেদের প্রায় সময়ই যাতায়াত ছিল এবং জেলা কমিটির মিটিং ও গণসংগঠনের মিটিং হত। কমরেডের জীবন থেকে বিপ্লবীদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছুই আছে। পার্টির জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কমরেডের মৃত্যুতে গভীর শোক জ্ঞাপন করা হয়েছে। এই কমরেডের বিপ্লবী কর্মকান্ড ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে পার্টি ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আহবান রাখছে।

কমরেড কণা সরকার লাল সেলাম। কমরেডের স্মৃতি অবিনশ্বর হোক।

খণ্ড-28
সংখ্যা-46