আবেদন
গ্রামীণ গরিব মেহনতিদের ঋণ মকুব আন্দোলনে সামিল হোন
rural poor laborers

গ্রামীণ গরিব মেহনতিদের পরিবার পরিজন ঋণফাঁদে জর্জরিত। তার ওপর বিগত লকডাউনের চরম সংকট অবস্থার মধ্যে মাইক্রোফিনান্স সংস্থার এজেন্টদের জুলুম নির্যাতনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের অনেক জেলার মেহনতি পরিবারের হাজার হাজার মহিলাদের সংগঠিত হয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই প্রতিবাদ আন্দোলনে রাস্তায় নামতে হয়েছিল। ঐ আন্দোলনের চাপে এবং হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন ঘোষণায় ওই ঋণ আদায়ের জুলুম নির্যাতন কমেছিল। কিন্তু আবার মাইক্রোফিনান্স সংস্থাগুলো লাফাতে শুরু করেছে। তাদের ঋণ ব্যবসার মহাজনী কারবার চালিয়ে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার গরিব মানুষের নামে তাদেরকে না জানিয়ে পুরনো ঋণ পরিশোধ দেখিয়ে নতুন করে ঋণ অনুমোদন করে নতুন করে কিস্তি শোধ করার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছে। যেমন ধরুন কোনও ঋণগ্রহিতা কোনও মাইক্রোফিনান্স সংস্থা থেকে একলক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তিনি কিছু কিস্তি শোধ করেছেন। আর হয়ত ৫,০০০ টাকা বকেয়া আছে। এই বকেয়া শোধ দেখিয়ে নতুন করে এক লক্ষ টাকা ঋণ দেখিয়ে নতুন কিস্তির টাকা শোধ করার চাপ দিচ্ছেন। অনেক গরিব মহিলা দ্বিগুণ ঋণে দায়গ্রস্ত হলেন। অথচ তাদের আয় বাড়ল না। উল্টোদিকে লকডাউন উঠে গেলেও কাজ না পাওয়া, সরকারি ১০০ দিনের কাজও কম হওয়া, মজুরির দীর্ঘসূত্রিতা ও কম মজুরি দেওয়া, তার উপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে গরিব মানুষের জীবনধারণই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। উপরন্তু আবার ঋণ না পেয়েই ঋণের কিস্তি শোধ করার চাপ সৃষ্টি গ্রামীণ গরিব মেহনতিদের পরিবারের মহিলাদের দুর্বিসহ অবস্থায় ফেলছে। গত ১৯ ডিসেম্বর বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রামে কয়েকটি ঋণগ্রস্ত মহিলাদের বৈঠকে তাদের দুর্দশার ও ক্ষোভের কথা শোনা গেল। ঠিক হল আগামী বছরের শুরুতেই ব্লক ডেপুটেশন সংগঠিত করার মধ্যে দিয়েই আন্দোলন শুরু হবে। এজেন্টদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ প্রতিরোধ শুরু হবে।

খণ্ড-28
সংখ্যা-45