গত ১৭ ডিসেম্বর নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ায় সংগ্রামী বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের শতাধিক শ্রমিকদের এক সাধারণ সভা থেকে মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মজুরি না বাড়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের এক মনোভাব উঠে এসেছে। এই ব্লকে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে মজুরি একই জায়গায় রয়ে গেছে। বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় মজুরি আংশিক বেড়েছে। নদীয়া জেলার কয়েকটি স্থানে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসু হয়নি। তাই চরম সংকটের মধ্যে থাকা শ্রমিকরা অনমনীয় মনোভাব নিয়ে আন্দোলনের পথে রয়েছেন। বিশেষত কৃষ্ণনগরে বড় সংখ্যায় বিড়ি শ্রমিকদের এলাকা শিমূলতলায় এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত ইউনিয়ন যৌথভাবে লাগাতার কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। তারসাথে সঙ্গতি রেখে ধুবুলিয়ার বুকেও মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে তীব্র করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার কয়েকটি জনমোহিনী সহায়তা প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষের জন্য ইতিপূর্বেই চালু থাকা সমস্ত প্রকল্পগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেমন বিড়ি শ্রমিকদের জন্য গৃহনির্মাণ অনুদান, ছেলে মেয়েদের শিক্ষা স্টাইপেন্ড, চিকিৎসার জন্য সাহায্য, বিশেষত টিবি রোগে বিশেষ সহায়তা — এসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সাধারণ সভায় ছিলেন ধুবুলিয়া বিড়ি ইউনিয়নের সম্পাদিকা বেলা নন্দী, এআইসিসিটিইউ জেলা সম্পাদক জীবন কবিরাজ, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠক সন্তু ভট্টাচার্য, সুব্রত রায়, যুব কর্মী অমিত মন্ডল প্রমুখ।