খবরা-খবর
বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিকে প্রত্যাখান করল কলকাতার নাগরিকরা
BJPs policy of communal division

সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরদিন এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন —

অবাধ ও শান্তিপূর্ণ কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন,‍ রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যে রক্ষা করেনি এবং ব্যর্থ হয়েছে তা জলের মতো পরিস্কার। অন্তত বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল দেখলেই পরিস্কার হয়ে যাবে যে ভোট লুঠ ও সন্ত্রাস এইসব কেন্দ্রে বিরাট ভূমিকা নিয়েছে। অন্তত ৭টি পৌর ওয়ার্ডে শাসক দলের প্রার্থীদের প্রদত্ত ভোটের ৯৩ শতাংশের বেশি ভোট প্রাপ্তি বা কোনও একটি পৌর ওয়ার্ডে ৬২ হাজার বা ৩৭ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর জয়লাভ ‘অবাধ ভোটের’ নমুনা কিনা তা সকলেই বুঝতে পারবেন। একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এই অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপকে আমরা তীব্র নিন্দা করি।

এই নির্বাচনের ফলাফলের অন্য যে দিকটি সকলের নজরে পড়েছে তা হল, মাত্র কয়েক মাস আগে রাজ্য দখলের স্বপ্ন চূর্ণ হবার পর থেকে দলীয় কোন্দলে জর্জরিত ভারতীয় জনতা পার্টির ছোট লালবাড়ি দখলের জন্য সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও উস্কানি (কলকাতার জনবিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন ও ৮০ শতাংশ ‘তথাকথিত সংখ্যালঘু’ মানুষের উপস্থিতির মিথ্যাচার) কলকাতার নাগরিকরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। শুধু আসন সংখ্যায় নয়, বিজেপির প্রাপ্ত ভোট অন্তত ২০ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।

অন্যদিকে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট আলাদা আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২টি করে আসনে জয়লাভ করেছে। সামগ্রিকভাবে বামফ্রন্টের প্রাপ্ত ভোট প্রায় ১২ শতাংশের মতো। অন্তত ৬৫-৬৬টি পৌর ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের প্রার্থীরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীর তুলনায় বামফ্রন্ট প্রার্থীদের ভোটের মার্জিনে বিরাট দূরত্ব থাকলেও বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে সরিয়ে দেওয়া অবশ্যই উল্লেখযোগ্য।

আগামী দিনগুলোতে পৌর পরিষেবা নিয়ে জনগণের দাবিদাওয়া ও আশা আকাঙ্খাকে মূর্তরূপ দেবার জন্য বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। হাওড়া কর্পোরেশন সহ রাজ্যের অন্যান্য পৌরসভাগুলোর নির্বাচন অবিলম্বে ঘোষণা করার দাবি আমাদের তুলতে হবে।

খণ্ড-28
সংখ্যা-45