খবরা-খবর
চুঁচুড়ায় কিষাণ মহাসভার ডিএম ডেপুটেশন
Kisan Mahasabha in Chunchura

অকাল বর্ষণে শস্যহানির ক্ষতিপূরণ, কৃষিঋণ মকুব ও গ্রামে গ্রামে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার দাবিতে সারা ভারত কিষাণ মহাসভার ডাকে বৈঁচিতে অনুষ্ঠিত গণকনভেনশন থেকে হুগলীর জেলা শাসকের নিকট ডেপুটেশন কর্মসূচি ঘোষিত হয়। এই ঘোষণা অনুসারে জেলার এক বড় অংশ জুড়ে কৃষক-কৃষিশ্রমিক-কৃষিজীবী মানুষদের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী গণস্বাক্ষর অভিযান চালানো হয়। সহস্রাধিক কৃষকের গণস্বাক্ষর সম্বলিত দাবিসনদ নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি হুগলী জেলা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। জেলা শাসকের পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) শান্তনু বালা এই ডেপুটেশন গ্রহণ করেন। শান্তনুবাবু জানান, ধানের ক্ষতিপূরণের দাবি এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের বিবেচনায় নেই। এআইকেএম’র প্রতিনিধিদল সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ধানেরও ক্ষতিপূরণের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরলে এডিএম বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। আলুর ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে তিনি জানান, বাংলা শস্যবীমা যোজনার (বিএসবিওয়াই) আওতায় জেলার দেড় লক্ষ আবেদনকারীর প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণের প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিএসবিওয়াই’র সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বীমা কোম্পানি সমীক্ষা শুরু করেছে। সমীক্ষা শেষে ক্ষতিপূরণের শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। এর প্রেক্ষিতে প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, “সমীক্ষার ফলাফল যাই হোক, কৃষকদের ১০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।” যাদের নিজস্ব জমি নেই এমন গরিব ঠিকা ও ভাগচাষিদেরও ক্ষতিপূরণের প্রশ্নে এডিএম বলেন, “এই ধরনের কোনও কৃষক ক্ষতিপূরণের জন্য ব্লকের সহকারি কৃষি অধিকর্তার (এডিএ) নিকট আবেদন জানাতে পারেন। এডিএ শংসাপত্র দিলে ওই কৃষকও ক্ষতিপূরণ পাবেন।” প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে কমপক্ষে একটি করে সরকারি উদ্যোগে ধান সংগ্রহের স্থায়ী শিবির স্থাপনের দাবিকে এডিএম স্বীকার করেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ডেপুটেশন দলে ছিলেন মহঃ ইউসুফ মন্ডল, ইদ্রিশ সেখ ও মুকুল কুমার।

ডেপুটেশন কর্মসূচির পূর্বে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভসভায় বক্তব্য রাখেন সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতির জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন বাগ, কিষাণ মহাসভার রাজ্য যুগ্ম-সম্পাদক তপন বটব্যাল, এআইসিসিটিইউ নেতা ভিয়েত ব্যানার্জী এবং পার্টির জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার।

খণ্ড-29
সংখ্যা-1