খবরা-খবর
পার্টির বাঁকুড়া দশম জেলা সম্মেলন
Bankura District Conference

পার্টির বাঁকুড়া দশম জেলা সম্মেলন সফল হল গত ২৮ জানুয়ারি ভাষ্কর বাউরি (আঞ্জুমান-ই-ইসলামিয়া) হলে, সুবিমল সেনগুপ্ত নগরে (বাঁকুড়া শহরে)। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ৮০ জন প্রতিনিধি। খসড়া প্রতিবেদনের ওপর আলোচনাতে অংশগ্রহণ করেছেন ২২ জন প্রতিনিধি। নতুন জেলা কমিটিতে ৩ জন মহিলা সহ বেশ কিছু যুবক আছেন।

প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বনের জমি বাঁচানোর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আদিবাসী কমরেডরা, তারসাথে ওন্দা সহ ছাতনা, হিড়বাঁধ, খাতড়া, ইঁন্দপুর, বাঁকুড়া ১ ও ২ নং ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের ক্ষেতমজুর ও কৃষক আন্দোলনের সামনের সারির সংগঠক ও নেতৃবৃন্দসহ, বিষ্ণুপুর পৌরসভার শ্রমিক আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাস্তুঘর সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে মুখর সাথীরা এবং ঋণমুক্তি কমিটির মহিলারাও।

সম্মেলনের শুরুতে কৃষক আন্দোলন থেকে শুরু করে জেলা ও রাজ্যের প্রয়াত লড়াকু সাথীদের স্মরণ করা হয়। রক্ত পতাকা উত্তোলন করেন বাঁকুড়ার বর্ষীয়ান কমরেড মলয় দুবে। অতিথি ও পর্যবেক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির পর্যবেক্ষক সজল পাল, রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়তু দেশমুখ ও পলিটব্যুরো নেতা কমরেড কার্তিক পাল। নতুন জেলা কমিটির সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বাবলু ব্যানার্জী।

সম্মেলনে গৃহীত আগামী কর্মসূচিগুলি হল

১) এরাজ্যে চাষিদের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) আইন লাগু করে ধান-আলু সহ সব ধরনের ফসল সরকারকে কিনতে হবে এবং কাগজে নয়, সরেজমিন তদন্ত করে প্রকৃত চাষিদের ক্ষতিপূরণ সহ সব ধরনের সরকারি সাহায্য দিতে হবে। এই দাবিতে ব্যাপক কৃষকদের সমাবেশিত করে মার্চ মাসের শেষ দিকে ২৫,০০০ সদস্য সংগ্রহ করে কৃষক সমিতির জেলা সম্মেলন সংগঠিত করতে হবে।

২) আগামী সারা ভারত ধর্মঘটে জেলাজুড়ে প্রচার সংগঠিত করতে হবে এবং বিষ্ণুপুর পৌরসভার শ্রমিকদের নিয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট করতে হবে।

৩) রাঁচির আদিবাসী কনভেনশনের শিক্ষা নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কনভেনশনের মধ্যে দিয়ে নতুন করে আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ গঠন করতে হবে।

৪) আগামী পৌরসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুরে কয়েকটি ওয়ার্ডে লড়াই করা হবে। জেলা কমিটি সহ সমস্ত সংগঠনকে বিষ্ণুপুরের পাশে সব ধরণের সাহায্য নিয়ে দাঁড়াতে হবে, যাতে নজরকাড়া ফল করতে পারা যায়।

৫) আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি, ডিএফও ডেপুটেশন সফল করে তুলতে সকলকে মনোযোগ দিতে হবে।

৬) আগামী ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন দু’হাজার সদস্যের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে মহিলা সংগঠনের জেলা সম্মেলন করতে হবে।

আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন মাথায় রেখে লোকাল কমিটিগুলির অধীন গ্রামগুলিতে গ্রাম কমিটি গঠন করার জন্য ব্রাঞ্চগুলিকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

খণ্ড-29
সংখ্যা-5