পশ্চিম বাংলার স্কুলগুলোয় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির লক্ষণ প্রকট
corruption in the recruitment of staff

পশ্চিম বাংলার স্কুলগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি ও নিয়ম না মানা নিয়ে বেশ কিছুকাল ধরে অনেকগুলো মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু মামলাগুলো নিয়ে বিচারপতিরা যে ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাতে মনে হচ্ছে যে, সিঙ্গল বেঞ্চ, অর্থাৎ, এক বিচারপতির বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ বুঝিবা পরস্পরের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে। মামলাগুলোর শুনানি প্রাথমিকভাবে হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্কুলগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের এবং তারপক্ষে জোরালো তথ্যপ্রমাণ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর প্রতিবারই রাজ্য সরকারের তরফে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হয় এবং ডিভিশন বেঞ্চ যথারীতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বাতিল করে তাদের নির্ধারিত কমিটির হাতে তদন্তের ভার দেয়। যে রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছিল, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে তারা উদ্বেগমুক্ত বোধ করে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর নির্দেশ দেন — চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি ও নিয়ম না মানার অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। সেসময় ২৫ জন কর্মীর অসৎ পথে নিয়োগের অভিযোগ সামনে এসেছিল। কিন্তু রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের আবেদনের ভিত্তিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বাতিল করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় — দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করবে আদালত গঠিত কমিটি। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গড়া হয়, কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) সদস্য আশুতোষ ঘোষ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সহকারী সচিব পারমিতা রায় এবং হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ ব্যানার্জী। কমিটিকে দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।

কিন্তু দু’মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি তদন্তের রিপোর্ট জমা করতে পারে না এবং কমিটির আবেদনের ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চ তদন্ত শেষ করার জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি কমিটিকে আরো চারমাস সময় মঞ্জুর করে। ইতিমধ্যে অন্যায্য পথে চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীর আরো বহু সংখ্যক কর্মী নিয়োগের অভিযোগ আসতে থাকে এবং মামলাও দায়ের হয়। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগের সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫৭৩ এবং তৃতীয় শ্রেণীর নিয়োগের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩৫০ বলে দেখা যায়। মামলাগুলোর শুনানির সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এমন একটা সক্রিয়তা দেখান যেটা একেবারেই বিরল নিদর্শন। তিনি ৫৭৩ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী বরখাস্ত বলে ঘোষণা করেন ১০ ফেব্রুয়ারি। এর কয়েকদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৫০ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মীর নিয়োগকেও বাতিল বলে ঘোষণা করেন। ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়ে বেনিয়মের ভিত্তিতে নিয়োগের অভিযোগের তদন্ত পুনরায় সিবিআই করবে বলে ঘোষণা করেন। নিয়োগ থেকে বাতিল হওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেন — এই কর্মীরা এতদিন যে বেতন পেয়েছে তা তাদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। এই নির্দেশের পরই পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় এবং ডিভিশন বেঞ্চ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে তদন্ত শেষ করার জন্য রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটিকে আরো তিনমাস সময় দেয়। এখানে উল্লেখ্য, শুধু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীই নয়, দুর্নীতির ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগকে কেন্দ্র করেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২১ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার স্কুলে নিযুক্ত ছ’জন গণিত শিক্ষকের চাকরিও বাতিল করেন। আদালতে আবেদনকারী আব্দুল গণি আনসারি জানায়, নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮.৬, কিন্তু যে ছ’জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর তার চেয়ে কম। এই নির্দেশও কার্যকরী হয়না, ডিভিশন বেঞ্চের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত হয়ে যায়।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবার পরও সেই প্যানেল থেকে এবং প্যানেলে নাম না থাকাদেরও নিয়োগ। তৃণমূল সরকার ২০১৬ সালে স্কুলগুলোতে ১৩,০০০ কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করে। নিয়োগের জন্য যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি হয় প্যানেল। সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০১৯ সালের ৪ মে। কিন্তু তারপরও ঐ প্যানেল থেকে নিয়োগ হতে থাকে এবং অভিযোগ ওঠে — জেলাস্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিপত্তিশালীরা চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা করে নিয়ে নিয়োগগুলির মূল হোতা হয়ে ওঠেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, এই নিয়োগগুলোর পিছনে ‘গোপন হাত’ আছে আর সেই হাতগুলোকেই খুঁজে বার করতে হবে।

স্কুলগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম হল — প্যানেল তৈরির পর স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে, আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেবে। কিন্তু এসএসসি আদালতে হলফনামা দিয়ে বলেছে — এই নিয়োগগুলোর ক্ষেত্রে তারা সুপারিশ করেনি। তাহলে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তারথেকে এবং এমনকি প্যানেলে নাম না থাকাদের ক্ষেত্রেও নিয়োগপত্র দেওয়া হল কিসের ভিত্তিতে এবং কারাই বা সেগুলো দিল? সেই ‘গোপন হাতগুলো’ কারা? ডিভিশন বেঞ্চ চাকুরী বাতিলের নির্দেশ খারিজ করলেও নিয়োজিত ৫৭৩ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে — কাদের কাছ থেকে তাঁরা অনুমতিপত্র ও নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তা তাঁদের আদালতকে জানাতে হবে। এমনকি মুর্শিদাবাদ জেলায় ছ’জন গণিত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও এসএসসি বলেছে, এক্ষেত্রে তাদের ‘ভুল’ হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়য়ের অভিমত হল এটা ভুল নয়, ব্যাপারটা সজ্ঞানেই করা হয়েছে।

তৃণমূল জমানায় দুর্নীতির অভিযোগ ও উন্মোচন একেবারেই বিরল ব্যাপার নয়। ২০১১ সালে পশ্চিমবাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসীন হওয়ার আগে দেওয়ালগুলো ভরে যেত এই শ্লোগানে, “মমতা ব্যানার্জি সততার প্রতীক”। তাঁরা ক্ষমতায় বসার কিছুদিন পরই সারদা এবং তারসঙ্গে একগুচ্ছ চিটফান্ড দুর্নীতির উন্মোচন ঘটল এবং সেগুলোতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগও সামনে এল। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাল, সারদা প্রধান সুদীপ্ত সেন দু’কোটি টাকা দিয়ে মমতা ব্যানার্জির আঁকা ছবি কিনেছেন। সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান পুলিশ কর্তা রাজিব কুমার বাজেয়াপ্ত করা কম্পিউটার থেকে মমতা ব্যানার্জিকে জড়িয়ে থাকা দুর্নীতির কিছু তথ্যপ্রমাণ মুছে দিয়েছেন বলে আওয়াজ উঠল। তারপর থেকে ‘সততার প্রতীক’এর ঐ শ্লোগান আর দেওয়ালে দেখা যায়না। এরপর ২০১৯’র লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিম বাংলায় অনেকগুলো আসন বিজেপি’র কাছে হারালো। এবং তৃণমূল কংগ্ৰেসকে জনগণের প্রত্যাখ্যানের পিছনে দুর্নীতির, ‘কাট মানি’র দৌরাত্ম্যই মূল কারণ হয়ে থেকেছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব এবং স্বয়ং মমতা ব্যানার্জিও স্বীকার করে নিলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারির সংবাদ প্রতিদিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটা প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন — বেআইনি বাড়ি নির্মাণে “পুলিশ ও বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট টাকা খেয়ে ভাঙছেনা, বদনাম হচ্ছে কাউন্সিলরদের”। ফিরহাদ হাকিম দুর্নীতি থেকে কাউন্সিলরদের, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিবিদদের আড়াল করতে চাইলেও পৌরসভার ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েতগুলোর স্থানীয় জনগণ নিজেদের অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, কাউন্সিলরদের এবং পঞ্চায়েত প্রধানদেরও আঙুল ফুলে কেমন মোটা কলাগাছ হয়ে গেছে। তৃণমূল আর দুর্নীতি একাকার হয়ে গেছে এবং ‘জনসেবা’ যে ‘আত্মসেবার’ ধাপ তাকে শাসক দলের রাজনীতিবিদরা হামেশাই প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন।

স্কুলগুলোতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে, তাতে যেনতেন প্রকারেণ নিয়োগকে হাসিল করার প্রয়াস এবং দুর্নীতির নিদর্শন জাজ্বল্যমান হয়েই দেখা দিচ্ছে। যে ডিভিশন বেঞ্চ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করায় রাজ্য সরকার স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল, সেই ডিভিশন বেঞ্চই নিয়োগ নিয়ে এসএসসি’কে বিদ্ধ করে বলেছে, “আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারেনা এবং মামলাকারী (এক্ষেত্রে এসএসসি) কোনো সুপারিশ না করার অবস্থান নিলেও তারা ক্লিনচিট পেতে পারে না। ঐ কাজের জন্য কমিশনকে জবাবদিহি করতে হবে এবং কোনো সুপারিশ করা হয়নি বলে অবস্থান নিয়ে তারা দায়বদ্ধতাকে এড়িয়ে যেতে পারেনা।” গোটা ঘটনায় এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শাসক দলের প্রভাবশালীরা এক গাঁটছড়ায় আবদ্ধ বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। ভারতের জনগণ নিজেদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখেছেন, কমিটি গঠন অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে ওঠে আশু ক্ষোভ প্রশমন ও তদন্তকে দীর্ঘায়িত করারই এক কৌশল। ডিভিশন বেঞ্চের গঠন করা কমিটি স্কুলে কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কতটা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দেখায়, সেটাই এখন দেখার।

পুনশ্চ: আবারও বেআইনি পথে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা এবং এবারও ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দুর্নীতির অনুসন্ধানে সিবিআই’কে তদন্তের নির্দেশ। এই লেখা যখন ছাপতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার তখনও ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায়নি। তবে, ধারাবাহিকতা বলছে, সম্ভবত ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানো হবে এবং ডিভিশন বেঞ্চ আরো একবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে তদন্তের ভার দেবে ডিভিশন বেঞ্চের গঠন করা কমিটির হাতে।

দুর্নীতির ভিত্তিতে নিয়োগের অভিযোগ অতি সংক্ষেপে এরকম। নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিয়ে প্যানেলভুক্ত হয়েছিলেন নাসরিন খাতুন। কিন্তু তাঁর চাকরি হয়নি, উল্টে প্যানেলে নাম না থাকা দুজন বাংলা শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত হন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ সম্ভব নয়। যাদের নাম প্যানেলেই ছিলনা, এসএসসি তাদের নাম জেনে অনুমোদনপত্র দিল কিভাবে? আবার সেই ‘গোপন হাত’এর খেলা, যে হাত এসএসসি এবং নিয়োজিত প্রার্থীদের মধ্যে সংযোগ মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছে। মামলাগুলোর নিষ্পত্তি কবে হবে, এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে কিনা তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে, একটা কথা কিন্তু হলফ করে বলাই যায় — এটাই স্কুলগুলোতে নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির শেষ অভিযোগ নয়; নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের ব্যাপকতা এতটাই যে, এই ধরনের অভিযোগ আরো সামনে আসবে, এবং মামলাও হাইকোর্টে গড়াবে।

- জয়দীপ মিত্র

খণ্ড-29
সংখ্যা-10