অমৃত মহোৎসব! : স্বাধীনতার, না কি গুলামগিরির?
Independence_slavery

তামিলনাড়ুর পঞ্চায়েতে অনেক দলিত নেতাকেই জাতীয় পতাকা তোলার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হল। দলিত পঞ্চায়েত প্রধানদের নামে কোনো সাইনবোর্ড রাখা হয় না, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে তাঁদের বসতে দেওয়াও হয়না এবং এমনকি পঞ্চায়েতের নথিপত্রেও হাত দিতে দেওয়া হয়না। এই ধরনের বৈষম্য ও বঞ্চনা সামনে আসায় তামিলনাড়ু আনটাচেবিলিটি ইরাডিকেশন ফ্রন্ট (অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ ফ্রন্ট) এনিয়ে একটা সমীক্ষা চালায়। ঐ সংস্থার কর্মকর্তা কে সামুভেল রাজ জানিয়েছেন, “সমীক্ষার ফল খুবই হতাশাজনক, কেননা, দেশ যখন ৭৫তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপন করতে চলেছে সেই সময় (দলিত) পঞ্চায়েত সভাপতিদের জাতীয় পতাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ২০টা পঞ্চায়েতে এই ধরনের সমস্যা রয়েছে।” এটা হিমশৈলের চুড়া বলেই অনেকে অভিমত পোষণ করছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেছে নেওয়া ১,৬০০টা পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩৮৩টা দলিতদের জন্য সংরক্ষিত, এবং সবকটিতেই দলিতদের ক্ষমতা খর্বীকৃত। প্রজাতন্ত্র, স্বাধীনতা ও গান্ধী জয়ন্তীতে দলিতদের জাতীয় পতাকা তুলতে না দেওয়াই রীতি হয়ে রয়েছে। দলিত সভাপতিরা কি তবে জাতীয় পতাকা তুলতে পারবেন না? সেটাকে আটকাতে কাল্লাকুরিচু জেলার এক দলিত প্রধান সুধা ভরদারাজি ৩ আগস্ট জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে জানালেন — “আমার আগে আরও দশজন পঞ্চায়েত সভাপতি ছিলেন যাঁদের সবাইকেই জাতীয় পতাকা তুলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাকে সেই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আমি দাবি জানাচ্ছি, যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক যাতে এবছর স্বাধীনতা দিবসে আমি আমার অধিকার প্রয়োগ করতে পারি।” অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ দূরে থাক, চলতি জমানায় বর্ণ পীড়নকে আরও বাড়িয়ে চলাই হচ্ছে।

খণ্ড-29
সংখ্যা-36