“এসসি-এসটি-ওবিসিরা হিন্দু নয়” এই কথা শেয়ার করায় দলিত উকিলকে খুন করা হল
ser

দু’জনেরই বাড়ি একই গ্রামে, মহারাষ্ট্রের রাপার গ্রাম, কাজ করেন আলাদা আলাদা জায়গায়। একজন, ভারত রাভাল, ব্রাহ্মণ এবং একটি মুদিখানা দোকানের কর্মচারি। অন্যজন, দেবজী মাহেশ্বরী, শহরের আদালতে ওকালতি করেন এবং ‘বামসেফ’ (অল ইণ্ডিয়া ব্যাকওয়ার্ড অ্যাণ্ড মাইনরিটিস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন)-এর প্রবীণ কর্মী। দেবজী মাহেশ্বরীকে খুন করার আগে মাসাধিক কাল ধরে ভারত রাভাল হুমকি দিয়েছে, সরাসরি বলেছে যে মাহেশ্বরী চুপ না করলে খুন হয়ে যাবে। এরপরও মাহেশ্বরীজী বামসেফের জাতীয় সভাপতির একটি ভাষণ শেয়ার করেন যেখানে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে যে এসসি-এসটি-ওবিসি কমিউনিটির সদস্যরা হিন্দু নয়। এরপরই ভারত রাভাল মাহেশ্বরীজীর বাড়িতে এসে ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

এই ঘটনাটি থেকে কয়েকটি জিনিস বলা যায়। এসসি-এসটি-ওবিসিদের মধ্যে অগ্রণী একটি অংশ নিজেদের ‘হিন্দু’ ধর্ম ক্যাটেগরির অন্তর্ভুক্ত মনে করেনা। এই মতামত নিয়ে ব্রাহ্মণদের মধ্যে উৎকণ্ঠা আছে, তারা মনে করে এমনটা হলে শুদ্রদের ওপর অত্যাচার চালানোর জন্ম-জন্মান্তরের অধিকার তারা হারাবে। তাই তারা চায় না যে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মতামত পৌঁছে যাক। এদেশে এখনও এক ব্রাহ্মণ যুবক ‘নীচু জাতের’ কণ্ঠ স্তব্ধ করতে সরাসরি হত্যা করাকে স্বাভাবিক মনে করে। আর্থিক তথা পদমর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিও কেবলমাত্র জাতপরিচয়ের কারণে দলিত অত্যাচারিত হতে পারে তুলনামূলকভাবে অনেক পিছিয়ে থাকা বর্ণহিন্দুর দ্বারা।

খণ্ড-27
সংখ্যা-35