ভারতের দরিদ্রদের দুঃখজনক বাস্তবতাকে উপহাস করার পালা

12-Feb-2025, নয়া দিল্লী
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ নয়াদিল্লি: শহরের গৃহহীন মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রের অবস্থা নিয়ে একটি মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গাভাই নির্বাচনের আগে ফ্রি বিতরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর উপর হামলা চালান এবং প্রশ্ন তোলেন যে এটি কি একটি "পরজীবী শ্রেণী" তৈরি করছে। মূলধারার মিডিয়া অবিলম্বে এটিকে আঁকড়ে ধরে, হেডলাইনে চিৎকার করে বলেছে যে সুপ্রিম কোর্ট ফ্রি বিতরণের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে যে ফ্রি বিতরণের সংস্কৃতি শেষ করার সময় এসেছে কিনা। একজন কর্মরত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত মানুষদের পরজীবী বলে উল্লেখ করেন এবং তাদের কিছু সান্ত্বনা দেওয়া সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পগুলোর নিন্দা করেন, এটি উদ্বেগজনক। সংবিধানিক আদালতের একজন বিচারপতি, যারা সহজেই.....

সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে অবিলম্বে গড়চিরোলি এনকাউন্টারের তদন্ত করতে হবে

17-Nov-2021, দিল্লী
মহারাষ্ট্র পুলিশ দাবি করেছে যে গত ১৩-১৪ নভেম্বর ২০২১ তারা গড়চিরোলি জেলার এক গ্রামে ২৬ জন মাওবাদীকে এনকাউন্টারে হত‍্যা করেছে। এই ঘটনা ঠিক কোথায় ঘটেছে সে সম্পর্কে পরস্পরবিরোধী রিপোর্ট এসেছে এবং তথাকথিত এই এনকাউন্টার ও তৎপরবর্তি পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ‍্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তাব‍্যক্তিরা আর মন্ত্রীরা উল্লসিত বিবৃতি জারি করতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করেনি। ২৩ আগস্ট ২০১৪-তে 'পিইউসিএল বনাম ভারতের ইউনিয়ন' মামলার [(২০১৪) ১০ এসসিসি ৬৩৫] নির্দেশনামায় সর্বোচ্চ আদালত সুস্পষ্ট গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছিল যা পুলিশের দ্বারা সংঘটিত প্রতিটি এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে মেনে চলার কথা। এই গাইডলাইন অনুসারে গড়চিরোলি এনকাউন্টারের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের বিচারকের অধীনে তদন্ত চালানো ছাড়াও.....

সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটি মোদির বিভ্রান্তিকর ও ছলনাময় বক্তব্যের নিন্দা করছে এবং প্রয়াত সৈনিকদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ২২ জুন দিনটি পালনের আহ্বান জানাচ্ছে

20-Jun-2020, নিউ দিল্লী
১৯ জুন ‘সর্বদলীয় বৈঠকে’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চীন-ভারত এলএসি সংঘাত প্রসঙ্গে স্পষ্টতা প্রদানের বদলে আরও একগুচ্ছ প্রশ্ন জাগিয়ে তুলেছে। চীনা বাহিনীর সাথে হাতাহাতি সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ কুড়ি জন ভারতীয় সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে – অবিসংবাদিত এই একটি মাত্র দুঃখজনক সত্যই তিনি মেনে নিয়েছেন। চারজন অফিসার সহ দশ জন সৈনিককে শেষ পর্যন্ত চীন মুক্তি দিয়েছে, কিন্তু মোদি সরকার একবারের জন্যও স্বীকার করেনি যে কোনও সৈনিক নিখোঁজ অথবা চীনের হাতে বন্দী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের দিকে চীনের অনুপ্রবেশ ও কাঠামো নির্মাণ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক যে বিবৃতি জারি করেছিল তাকেও কার্যত বিরোধিতা করলেন মোদি। তিনি যে তত্ত্ব দিলেন – ‘কেউ ঢোকেনি, ঢুকে থেকে যায়নি.....

১২ এপ্রিল ২০২০ দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচী : ক্ষুধার বিরুদ্ধে মজুরি ও ভাতার দাবিতে

11-Apr-2020, Kolkata
(সকাল ১০ থেকে ১ টার মধ্যে) প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেল, সারা দেশ সম্পূর্ণ লক-ডাউনে আছে। বেঁচে থাকার জন্য আমরা যারা দিন মজুরি করি, লকডাউনে তাদের উপার্জনও সম্পূর্ণ বন্ধ (লকড) হয়ে গেছে। দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে খাবার বা অন্যান্য অপরিহার্য দ্রব্য খরিদ করার সামর্থ্য আর নাই আমাদের। সঞ্চয় যা ছিল তা শেষ। আমাদের খাবার থালা শূন্য এবার। কে তা পূর্ণ করবে? আমাদের ছেলেমেয়েরা না খেয়ে ঘুমোতে যাচ্ছে, কে তাদের খাওয়াবে? লক-ডাউনের নামে এই ক্ষুধার সাম্রাজ্য আমরা মেনে নেব না। ঘাম ঝড়িয়ে আমরাই যে খাদ্যশস্য উৎপন্ন করেছিলাম তা দেশের খাদ্যভাণ্ডারগুলিতে মজুত আছে। একটা হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আমাদের প্রয়োজনের সাড়ে তিনগুণেরও বেশি খাদ্যশস্য.....

দিল্লীতে তবলিগি জামাতের সমাবেশকে অপরাধ হিসাবে সাব্যস্ত করা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোকে ধিক্কার

31-Mar-2020, New Delhi
নয়া দিল্লী, ৩১ মার্চ; ২০২০ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লীতে তবলিগি জামাতের একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সমাবেশকে বেছে নিয়ে যেভাবে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে তা চরম নিন্দনীয়। একথা তো জানা যে, ভাইরাস প্রতিরোধে বিদেশ থেকে ভারতে আসা বন্ধ করার এবং বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করতে নির্দেশিকা বা সতর্কতা জারি করার দায়িত্ব ও ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের; কেন্দ্র সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তার বদলে, মার্চ মাসের অর্ধেকটা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯ এর বিপদকে অস্বীকার করছিল এবং বিরোধী দলনেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করলে উল্টে তাদেরকেই “অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে” বলে অভিযুক্ত করছিল। ভারতে কোভিড-১৯ এর প্রথম আক্রমণ নথিভুক্ত.....

মানুষের পাশে দাঁড়াও, করোনা আটকাও

29-Mar-2020, New Delhi
২৯ মার্চ, ২০২০ মোদী সরকার দেশব্যাপী লক-ডাউন ঘোষণা করেছে। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারী ভারতে থামিয়ে দিতে মরিয়া পদক্ষেপ হিসেবেই এই লক ডাউন। সরকারের তরফ থেকে সময় মতো প্রতিষেধক ব্যবস্থা নেওয়ার দুর্বলতা এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার করুণ দশা ভারতকে গভীরতর এক বিপদের সামনে এনে ফেলেছে। এর ফলে লক-ডাউনের মতো বিপজ্জনক পন্থাও ভাইরাস আটকানোর জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে জনমানসে গৃহীত হচ্ছে। কিন্তু কোটি কোটি দিনমজুর, পরিযায়ী শ্রমিক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকেরা হঠাৎ কাজ হারিয়ে কিভাবে বাঁচবে তা একবারও না ভেবেই এই লক ডাউন ঘোষণা হয়ে গেল। ভারতের সর্বত্র ভয়ানক খাদ্য ও আশ্রয় সংকট দেখা দিয়েছে। এত বিপুল সংখ্যায় দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা পালিয়ে ফিরছে.....

অ-সাংবিধানিক, গরিব বিরোধী, সাম্প্রদায়িক নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও সারা ভারত এন আর সি-কে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহত করুন

05-Dec-2019, নিউ দিল্লী
ক্যাব ও এন আর সি এবং ছাত্র-শিক্ষক-বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর হামলার বিরুদ্ধে ১০ ডিসেম্বর, মানবাধিকার দিবসে প্রতিবাদ সংগঠিত করুন । নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পেয়েছে, সংসদে পেশ হতে চলেছে। চোরা পথে আর এস এসের "হিন্দু রাষ্ট্র""-এর ধারণাকে পাশ করানো হচ্ছে। ১। সংশোধনী বিলটি আনার প্রেক্ষিত হিসেবে বলা হচ্ছে যে এর ফলে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রশ্ন হল - প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে আসা নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি, যেমন রোহিঙ্গা মুসলমান, শ্রীলঙ্কার তামিল, তিব্বতী বৌদ্ধ, উইঘুর মুসলমান বা বাংলাদেশের নিপীড়িত নাস্তিক যুক্তিবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠি(যাদের অধিকাংশই মুসলমান উৎসের) এই তালিকা থেকে বাদ কেন? শরণার্থীর সংজ্ঞা নির্ধারণে ধর্মবিশ্বাস ও.....

অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে সিপিআই(এম এল) পলিটব্যুরোর বিবৃতি

09-Nov-2019, New Delhi
এটা মনে রাখা দরকার যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায় ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের গর্হিত অপরাধমূলক কার্যকে কোনভাবে বৈধতা দেয়নি। কিন্তু বিরোধ নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে এই রায় একটি যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত হাজির করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যে তার্কিক ভিত্তি বর্ণনা করা হয়েছে আর যে উপসংহারে পৌঁছানো হয়েছে তাদের মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নাই। ফলত রায়টি অসঙ্গতিপূর্ণ ও প্রত্যয়হীন হয়ে পড়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সঠিকভাবেই উল্লেখ করেছে যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করাটা স্পষ্টতই আইন ভাঙা কাজ এবং মালিকানা মামলার সিদ্ধান্ত বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয়, তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হওয়া দরকার। কিন্তু, রাম মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে পুরো জমিটি কেন্দ্র সরকারের হাতে তুলে দিয়ে.....

মধ্যরাতে আবার পুলিশের কড়া নাড়া। সাংবাদিক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা

18-Oct-2019, Kolkata
সেই দুঃস্বপ্নের দিনগুলি আবার ফিরে আসছে। দেশজুড়ে, রাজ্যজুড়ে। কখনও "আরবান নকশাল" বলে, কখনও "মব লিঞ্চিং এর বিরোধিতা" করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর জন্য দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্টরা গোটা দেশটাকেই জেলখানা বানাতে চায়। সাংবাদিক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূল সরকার ও তৃণমূল নেতাদের দূর্ণীতি, অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের ‌বিরোধিতা করে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করছেন। রাজ্যবাসী যুক্তি -বুদ্ধি অনুযায়ী তা গ্রহণ বা বর্জন করছেন। কিন্তু তৃণমূল সরকার বা তৃণমূল কংগ্রেস দলের গাত্রদাহ এতে বেড়ে যায়। তথ্য উদাহরণ দিয়ে তাকে নস্যাৎ করার পরিবর্তে তৃণমূল সরকার ও দল সন্ময়বাবুকে ভীতি প্রদর্শন শুরু করে। দিনকয়েক আগে সন্ময়বাবুর পাণিহাটি আগরপাড়ার বাসভবনে পুলিশ মাঝরাতে হানা.....

কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য রাহুল সিনহা কে ক্ষমা চাইতে হবে

18-Oct-2019, kolkata
বিজেপির নেতা -নেত্রীরা অশ্লীল, অশোভন, কুৎসিত ভাষায় কথাবার্তা বলতে অভ্যস্ত। এনিয়ে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। সকলেরই লক্ষ্য সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকা। আর এর মাধ্যমে রাজনীতির পরিবেশ কে কলুষিত করার কাজটা তারা সযত্নে চালিয়ে যান। সদ্য অর্থনীতিতে -নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিন্তা ভাবনা কে কেউ পছন্দ বা সমর্থন নাই করতে পারেন। ঐ চিন্তা ভাবনা কে কেউ "বামপন্থী"বলে নস্যাৎ ও করতে পারেন। এতে "অপরাধ" কিছু নেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল যে ভাষায় ও যে যুক্তিতে অভিজিৎ্ ব্যানার্জির চিন্তা ভাবনা নাকচ করলেন,তা হাসির উদ্রেক করে মাত্র। "গত লোকসভা নির্বাচনে "ন্যায় প্রকল্প " নস্যাৎ করার মাধ্যমে জনগণ অভিজিৎ ব্যানার্জির চিন্তা.....