খবরা-খবর
সাঁতরাগাছিেত দুর্ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি

গোটা দেশজুড়ে রেলের বেহালা অবস্থা, যাত্রী সুরক্ষার অভাবের প্রতিফলন ঘটছে একের পর এক রেল দুর্ঘটনায়। সাঁতরাগাছি স্টেশনেও গত ২৩ অক্টোবর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যার ফলে দুজন নিহত এবং পনেরো জন আহত হন। সাঁতরাগাছিকে মডেল স্টেশন বানানোর ভাঁওতা দিয়ে হকার উচ্ছেদ হয়েছে অথচ পরিকঠামোর ন্যূনতম উন্নতি হয়নি। ক্রমাগত যাত্রী সংখ্যার চাপ বাড়ছে কিন্তু তাকে সামাল দেওয়ার কোনো বন্দোবস্ত রেল করেনি। যাত্রীদের যাতায়াত করার একটিই মাত্র ফুট ওভার ব্রিজ, দ: পূ: রেলের লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কম তদুপরি অনিয়মিত। ট্রেন ঘোষণার ক্ষেত্রেও উদাসীনতা দেখা যায়। ফলে ট্রেন ধরার তাড়াহুড়োতে গত ২৩ তারিখ পদপৃষ্ঠ হয়ে মারা যান নির্মাণ শ্রমিক কমলাকান্ত সিংহ এবং তাসের শেখ। আহত পনেরোজন। দুর্ঘটনার পরদিনই সিপিআই(এমএল) এর এক প্রতিনিধি দল হাওড়া মর্গ এবং হাওড়া হাসপাতালে যান। কথাবার্তা হয় নিহত এবং আহতদের পরিবারবর্গের সাথে। সিপিআই(এমএল) হাওড়া জেলা সম্পাদক কমরেড দেবব্রত ভক্ত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবী করেন অবিলম্বে নিহতদের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসার সব দায় রেলকে নিতে হবে,সাঁতরাগাছি স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। এই দুই প্রধান দাবি সহ আরও কিছু দাবীর ভিত্তিতে সিপিআই(এমএল) হাওড়া জেলা কমিটির উদ্যোগের ২৬ অক্টোবর সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নেওয়া হয়। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন বাসুদেব বসু, এন এন ব্যানার্জী, দেবব্রত ভক্ত, প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের বাসুদেব দাস এবং মেহবুব আহমেদ। সঞ্চালনা করেন নীলাশিস। বক্তাদের বক্তব্যে দাবি উঠে আসে, দেশজোড়া রেল দুর্ঘটনার দায় নিয়ে রেল মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সভা শেষে প্রবীর হালদার, দেবব্রত ভক্ত, বাসুদেব বসু, এন এন ব্যানার্জী এবং প্রণব মন্ডলের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ডিওএম-এর সাথে দেখা করে স্মারকলিপি পেশ করেন। তিনি জানান আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে আরেকটি প্রশস্ত ফুট ওভার ব্রিজ তৈরি হবে এবং ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ এবং সমর্থনও ছিল উল্লেখযোগ্য।

santra

 

খণ্ড-25
সংখ্যা-29