খবরা-খবর
বিপিএমও-র রাজ্যব্যাপী অধিকার যাত্রার সমাপ্তিতে শহীদ মিনারে কেন্দ্রীয় জমায়েত

বিপিএমও (বেঙ্গল প্লাটফর্ম অফ মাস অর্গানাইজেশন) ১২১ টি গণসংগঠনের মিলিত মঞ্চ। ১২ দফা দাবিতে 'অধিকার যাত্রা' গত ১০ সেপ্টেম্বর কুচবিহার থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে ৩ অক্টোবর ২০১৮ কলকাতায় জন সভার মধ্য দিয়ে শেষ হল। এর মধ্যে আছে অসংখ্য ছোট বড় মিছিল,জাঠা ও জনসভা। সারা রাজ্যের ২৩ টি জেলা, ৮৭ হাজার বুথ এবং ৫০ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রায় প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন।

অধিকার যাত্রীরা কুচবিহার থেকে ডুয়ার্স, তরাই,জঙ্গল মহলের বুক চিরে, কৃষি—শিল্পাঞ্চল হয়ে সাগর সঙ্গমে। তারপর কলকাতার উত্তর, পূর্ব, দক্ষিণ ও হাওড়ার বিভিন্ন পথ দিয়ে পদযাত্রীরা শহীদ মিনার ময়দানে জনসভায় যোগ দেয়।

অধিকার যাত্রায় এআইসিসিটিইউ, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি, এআইএসএ, সারা ভারত কৃষি ও গ্রামীণ মজুর সমিতি, সারা ভারত কৃষক মহাসভা, আরওয়াইএ, পশ্চিমবঙ্গ গণসাংস্কৃতিক পরিষদ বেশীর ভাগ জেলায় নিজেদের ঝান্ডা পতাকা ব্যানার সহ সংগঠিত ভাবে অংশ নেয়।

অধিকার যাত্রায় মূল দাবি সমুহ:-
(১) স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্য ও কেন্দ্রকে ফসলের উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণ দাম দিতে হবে। সরকারকেই সরাসরি ফসল কিনতে হবে।
(২) পেট্রোপণ্য, বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে।
(৩) সকলের হাতে কাজ চাই। কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকা মজুরি, ৩ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে। সমস্ত শ্রমিক বিরোধী আইন বাতিল করতে হবে।
(৪) আসামে সমস্ত ভারতীয়ের নাম নাগরিক হিসাবে আন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
(৫) মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকতাবাদী কার্যকলাপ এবং দলিত-আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
(৬) নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
(৭) সারদা, নারদ, রাফায়েল কেলেঙ্কারি ও ব্যাঙ্কের টাকা লুটের অপরাধীদের শাস্তি চাই।
(৮) কম খরচে শিক্ষা চাই, শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য ও দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
(৯) খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
(১০) ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ করা চলবে না।
(১১) ভাগচাষী ও ক্ষেতমজুরদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
(১২) আয়লা বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলির পুনর্গঠনে রাজ্য সরকারকে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

এই দাবিগুলোর সাথে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলের দাবি সমুহ।

বক্তব্য রাখেন সূর্যকান্ত মিশ্র, অতনু চক্রবর্তী, নরেন চ্যাটার্জী, স্বপন ব্যানার্জী, অশোক ঘোষ, অনুরাধা দেব, দেবলীনা হেমব্রম এবং শ্যামল চক্রবর্তী।

সভাপতিমন্ডলীতে ছিলেন অশোক গাঙ্গুলী, বিকাশ ভট্টাচার্য, চন্দন সেন, মন্দ্রাক্রান্তা সেন, তরুন মজুমদার, ডা: ফুয়াদ হালিম, দিবাকর ভট্টাচার্য, সর্বাণী ভট্টাচার্য, সায়নদীপ মিত্র, হাফিজ আলম সায়রানি, শুভম ব্যানার্জী।

খণ্ড-25
সংখ্যা-31