খবরা-খবর
সংগঠকের ডায়েরী : পদযাত্রার আওয়াজের সঙ্গে মিশে গেল স্থানীয় দাবির আন্দোলন

হুগলীর পান্ডুয়া ব্লকের কোঁচমালি গ্রাম পার্টির অনেক দিনের পুরানো কাজের এলাকা। বিশেষ করে গ্রামটির রায়পাড়ায় দিনমজুর মহিলারা বরাবরই পার্টির ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই ‘কৃষক গ্রামীণ মজুর অধিকার যাত্রায়’ তারা যাতে সামিল হন সে জন্য সপ্তাহ খানেক আগে পার্টির স্থানীয় নেত্রী সরস্বতী তুড়িকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেখানে কয়েকজন মহিলা আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘পদযাত্রায় না যাওয়ার তো কিছু নেই। কিন্তু আমরা যে কতকাল ১০০ দিনের কাজ পাইনা সে বিষয়ে কী করা হবে?” তখনই ঠিক হয়,পঞ্চায়েতকে না জানিয়ে হঠাৎই পঞ্চায়েত ঘেরাও করা হবে। সেই মত আজ (২২ জানুয়ারি) বেলা ৩টের সময় রায়পাড়ায় স্থানীয় মহিলা কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। আগেই অন্যান্য পাড়ায় (২৫ নং গেট পাড়া, রাজভরপাড়া ও দারোয়ানপাড়া) খবর জানানো ছিল।অতি দ্রুত জনা চল্লিশ নানা বয়সের মেহনতী মহিলা কোথা থেকে যে এসে হাজির হলেন! কাছেই পঞ্চায়েত অফিস।প্রধান ছিলেন না। উপপ্রধানও বিক্ষোভের গন্ধ পেয়ে সড়ে পড়েছেন। তবু মহিলারা নাছোড়। তাদের কথা কর্তাদের শুনতেই হবে।শেষে প্রধানের উদ্দেশ্যে নরেগা প্রকল্পে কাজের দাবি জানিয়ে লেখা স্মারকলিপি সচিবের হাতেই জমা দেওয়া হল। উত্তর পাওয়ার জন্য সাত দিনের চরম সীমা দিয়ে মহিলারা ঘরে ফিরলেন। ফেরার পথে তাঁরা পদযাত্রায় সামিল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন।অনেকেই পদযাত্রাকে সফল করার জন্য হাসি মুখে অর্থ সাহায্যও করলেন। বিক্ষোভ জমায়েতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন লক্ষ্মী রায়, বাসন্তী রায়, সরস্বতী তুড়ির মত লড়াকু শ্রমজীবী মেয়েরা।

খণ্ড-26
সংখ্যা-4