বিজেপি’র দেশ বিক্রি, হিংসা, বিদ্বেষ-বিভাজনের ঘৃণ্য রাজনীতিকে নির্মূল করতে ও তৃণমূলের দুর্নীতি, দলতন্ত্র, সন্ত্রাস ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারী ২০২২ জলপাইগুড়ি দ্বাদশ জেলা সম্মেলন জলপাইগুড়ি শহরের বান্ধব নাট্যসমাজ হলে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের সভাগৃহ নামাঙ্কিত করা হয়েছিল কমরেড কার্তিক রায় ও কমরেড মিনু দেবগুপ্তের নামে। শহরের নামকরণ করা হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরের অগ্নিযুগের বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী বীরেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্তের নামে। বীরেন্দ্রনাথ ছিলেন বিপ্লবী বাঘাযতীনের সহযোদ্ধা যাকে ইংরেজ জমানায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। পূর্ব নির্ধারিত দু’দিনের সম্মেলন কোভিড মহামারীর পুনরায় প্রকোপের কারণে একদিনে সম্পন্ন করা হয়। প্রারম্ভে রক্তপতাকা উত্তোলন করেন জেলার পার্টি নেত্রী রেবা দাস। সমগ্র অধিবেশন পরিচালনার জন্য প্রদীপ গোস্বামী, হবিবর রহমান, উদয় শংকর অধিকারী ও প্রদীপ দেবগুপ্তকে নিয়ে সভাপতিমন্ডলী গঠিত হয়। বর্ষীয়ান নেতা কমরেড মিহির সেন গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন। তারপর রাজ্য কমিটি থেকে আগত পর্যবেক্ষক পবিত্র সিংহ তাঁর বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত পার্টির রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার জাতীয় পরিস্থিতি, রাজ্য পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে পেশ করা প্রতিবেদনের উপর ১৭ জন বক্তব্য রাখেন। বক্তাদের মধ্যে মহিলা প্রতিনিধি ছিলেন ৩ জন। বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির সদস্য বাসুদেব বসু। তারপর বিদায়ী জেলা সম্পাদক ভাস্কর দত্ত প্রতিনিধিদের বক্তব্য, পরামর্শের সারসংকলন করে সংযোজন ও সংশোধন সহ প্রতিবেদনকে সমৃদ্ধ করে বক্তব্য রাখেন, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। মাঝে প্রয়াত মিনু দেবগুপ্তের কন্যা প্রমিতা দেবগুপ্ত কবিতা আবৃত্তি করেন। সম্মেলনে মোট প্রতিনিধি ছিলেন ৬০ জন, পর্যবেক্ষক ছিলেন ৫ জন। সবশেষে ১৭ জনের জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়। সম্মেলন কক্ষ থেকে ১৬ জনকে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ১ জনকে যুক্ত করার কথা ঘোষিত হয়। ২ জন মহিলা জেলা কমিটির সদস্য হন। নব নির্বাচিত কমিটি ভাস্কর দত্তকে জেলা সম্পাদক হিসাবে পুননির্বাচিত করে। সম্মেলন কক্ষ থেকে আগামী ২৩-২৪ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট সফল করে তোলার আহ্বান জানানো হয়। সেইসঙ্গে জোরের সাথে ধানের সহায়ক মূল্য নিয়ে সরকারি উদাসীনতা, ফড়ে দালাল মারফত স্বল্পমূল্যে ধান কিনে নেওয়া, সারের কালোবাজারি নিয়ে গ্রামীণ প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন ও কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাব নেন।