বিবৃতি
সংঘকে কিছুতেই জ্ঞানবাপীতে বাবরি ধ্বংসের পুনরাবৃত্তি করতে দেওয়া যাবে না
The Sangh will never be allowed

সংঘ ব্রিগেড জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একটা গন্ডগোল পাকিয়ে বাবরি কাণ্ডের পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা করছে, যা উপাসনাস্থল আইন, ১৯৯১’র সুস্পষ্ট লঙ্ঘণ। এই আইন ১৫ আগস্ট ১৯৪৭এ সমস্ত ধর্মীয় উপাসনাস্থলের যে আইনি মর্যাদা ছিল তা নিশ্চিত করে।

এই ষড়যন্ত্র সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়ের মর্মবস্তুকেও লঙ্ঘণ করে, যে রায় রামমন্দির তৈরির দাবিকে বাস্তবায়িত করতে চেয়ে মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে একটি গুরুতর অপরাধমূলক সক্রিয়তা হিসেবে নির্ণয় দেয়, পাশাপাশি এই প্রত্যাশায় যে এই রায় অন্য বিতর্কিত দাবিগুলিরও অবসান ঘটাবে৷

সংঘ ব্রিগেড বারবার একই উগ্র আক্রমণাত্মক শ্লোগান ‘অযোধ্যা স্রিফ এক ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’ এর মাধ্যমে তাদের ধংসাত্বক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করছে। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টকে নিজেই এগিয়ে আসতে হবে এবং এই ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করতে হবে। সমস্ত শান্তিপ্রিয় ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি’র জ্ঞানবাপী অভিযানের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি-নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম, অর্থনীতির ভয়াবহ বিশৃঙ্খল অবস্থা এবং সিংহভাগ ভারতীয় তাদের চাকরি, জীবিকা, বাসস্থান এবং জীবনের অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কিত। মোদী সরকার এই সঙ্কটের কোনও সমাধান দিতে ব্যর্থ, জনগণের দুর্দশা উপশমে কোনও ত্রাণ দিতে অনিচ্ছুক, এরা শুধু পারে সঙ্কটকালে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাটা ঘায়ে আরও নুনের ছিটে দিতে।

বৈচিত্র্য এবং সম্প্রীতি হল ভারতবর্ষের দুই স্তম্ভ যার ওপর দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়ভাবে ভারতবর্ষ যে কোনো ঝড়ের মোকাবিলা করতে সক্ষম। এই বুনিয়াদি ভিত্তিগুলির উপর আক্রমণ শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অধিকার এবং ঐতিহ্যের উপর আঘাত নয়, পাশাপাশি ভারতবর্ষের মিলিত ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার এবং বলিষ্ঠ চেতনার উপর সরাসরি আক্রমণ।

- দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক
সিপিআই(এমএল) লিবারেশন

খণ্ড-29
সংখ্যা-19