বিবৃতি
ফ্যাসিস্ট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিহার পথ দেখাবে
Bihar will lead

বিজেপিকেই ভারতের একমাত্র রাজনৈতিক ভবিষ্যত হিসেবে ঘোষণার উদ্দেশ্যে ৩০-৩১ জুলাই পাটনাতে সঙ্ঘ-বিজেপি প্রতিষ্ঠান এক বিশাল জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। ইতিমধ্যেই অমিত শাহ বিভিন্ন সময়ে গর্ব করে বলেছেন যে আগামী ৪ দশক বিজেপিই ভারত শাসন করবে।

এটা বিজেপির মিত্রদের জন্য জবরদস্ত ইঙ্গিত ছিল এবং আজকের বিহারের উদ্ভুত দেখিযে দিয়েছে যে নীতীশ কুমার সেই ইঙ্গিতকে সঠিক অনুধাবন করেছেন। দেরিতে হলেও নীতীশ কুমারের বিজেপির থেকে সরে আসার ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী লিবারেশন সহ মহাগাঠবন্ধনের একটি অ-বিজেপি সরকারকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত বিহারে পরিবর্তনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। আশা করা যায় যে রাজ্যপাল বিহার বিধানসভার পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বীকার করে একটি অ-বিজেপি সরকারকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুমোদন দেবেন।

বিহারে শাসন ক্ষমতার উপরে ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করে সঙ্ঘ-বিজেপি প্রতিষ্ঠান রাজ্যকে তাদের সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট নীতির পরীক্ষাগারে রূপান্তরিত করেছিল। বিহারে যোগী আদিত্যনাথের ইউপি মডেলের বুলডোজার রাজের অনুকরণ করার উৎসাহ জোরালো হয়ে উঠেছিল সাম্প্রতিক ইউপি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখার পর থেকে। বিধানসভার ভিআইপি বিধায়কদের বিজেপির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া ও ভিআইপি দলের মন্ত্রীকে বিহার মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেওয়া ছিল বিহারকে আরেকটি ইউপি-তে রূপান্তরিত করার দিকে প্রথম ধাপ।

মহারাষ্ট্র সরকারকে ফেলে দেওয়া ও ঝাড়খন্ডে অনুরূপ সরকার ফেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা প্রকাশ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিহারে ক্ষমতা থেকে বিজেপির অপসারণ একটি যথাযথ বিপরীত ইঙ্গিত বহন করেছে। কিন্তু প্রকৃত পরিবর্তন ঘটাতে হবে বিহারের মাটিতে।

সমস্ত ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করা ও ভারতকে একটি রাষ্ট্রে পরিণত করার বিজেপির ফ্যাসিস্ট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শক্তির বিস্তৃত ও অধিক কার্যকরী সামাজিক ও রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাসকে বিহার অবশ্যই উদ্বুদ্ধ করবে। সমস্ত ফ্রন্টে ও সারা দেশ জুড়ে প্রতিরোধ তীব্রতর হোক। এক অ-বিজেপি সরকারের দিকে বিহারের পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির ফ্যাসিস্ট পরিকল্পনাকে পর্যুদস্ত করতে এবং বিহারের জনগণের জন্য উন্নত মান আদায় করতে বিহারের সিপিআই(এমএল) লিবারেশন বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে তার ভূমিকা আরো বাড়িয়ে তুলবে।

– দীপঙ্কর ভট্টাচার্য

খণ্ড-29
সংখ্যা-31