সফল হল কিষাণ মহাসভার ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন
 Kisan Mahasabha

সারা ভারত কিষাণ মহাসভা (এআইকেএম)-র ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ২৩-২৪ সেপ্টেম্বর বিহারের বিক্রমগঞ্জে। একদিকে ১৮৫৭’র মহাবিদ্রোহের অন্যতম রূপকার বীর কুমার সিংহের জন্মস্থান ভোজপুরের জগদীশপুর গ্রাম অন্যদিকে কৃষক আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম নেতা তথা কিষাণ সভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সহজানন্দ সরস্বতীর কর্মস্থল পাটনা জেলার বিহটা গ্রাম, মধ্যস্থলে বিক্রমগঞ্জ। ঐতিহাসিক অনুষঙ্গের এই বিক্রমগঞ্জ সমসাময়িক কালেও প্রত্যক্ষ করেছে বিশাল বিশাল কৃষক অভ্যুত্থান। গত শতকের ৬০-এর দশকের শেষ থেকে ৭০ দশক অবধি ভোজপুর অঞ্চলে ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক ও দলিত জাগরণের যে ঢেউ তা স্পর্শ করেছিল রোহতাস জেলার বিক্রমগঞ্জকেও। আর অতি সম্প্রতি ২৬ জানুয়ারি ২০২১ কৃষকদের ট্রাকটর মিছিলে দিল্লী যখন অবরুদ্ধ তখনও তাঁদের সমর্থনে আরা থেকে বিক্রমগঞ্জ হয়ে সারা বিহার জুড়ে সংগঠিত হয়েছিল হাজার কিলোমিটার লংমার্চ। সুতরাং বিক্রমগঞ্জ ছিল সম্মেলনের জন্য আদর্শ জায়গা এবং হাজার হাজার কৃষকের উপচে পড়া ভিড়ে ঠাসা কিষাণ মহাপঞ্চায়েতে সার্থকভাবে তুলে ধরা হল, “জমি, কৃষি, কৃষক বাঁচাও/ কর্পোরেট লুটের জমানাকে ধ্বংস কর” — এই আহ্বান।

Conference of Kisan Mahasabha

কৃপাল সিংহ বীর সভাগার (ইন্দু তপেশ্বর মহিলা কলেজ)-এর, পবন শর্মা নগর (বিক্রমগঞ্জ, রোহতাস)-এ অনুষ্ঠিত দু-দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশের ১৯টি রাজ্য থেকে মোট ৫১৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। এদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন মহিলা। এছাড়াও ৬০ জন পর্যবেক্ষক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে কৃষকের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টির পাশাপাশি গরিব ভাগচাষি ও চুক্তিচাষিদের কৃষকের মর্যাদা ও স্বীকৃতির দাবি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। সম্মেলনে সস্তায় কৃষি সরঞ্জাম সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের দাবি সহ ছ-দফা দাবিসনদ গৃহীত হয়। রুলদু সিং ও রাজারাম সিং যথাক্রমে সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন।

খণ্ড-29
সংখ্যা-38