খবরা-খবর
আন্দোলনের ৬০০ দিনে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের পাশে লিবারেশন
the 600 days of the movement

৪ নভেম্বর যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চের পক্ষ থেকে আয়োজিত গণকনভেনশনে উপস্থিত হন সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, আইসা, আইপোয়া, আইলাজ, আরওয়াইএ, গণসংস্কৃতি পরিষদ এবং অন্যান্য গণসংগঠনের নেতৃত্ব৷ ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চে এইদিন উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এমএল) লিবারেশন-এর পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল, পার্থ ঘোষ, এআইসিসিটিইউ-এর পক্ষ থেকে অতনু চক্রবর্তী, বাসুদেব বসু, আইসা-র পক্ষ থেকে স্বর্ণেন্দু মিত্র, শুভাশীষ দাস, আইলাজ-এর পক্ষ থেকে দিবাকর ভট্টাচার্য, আরওয়াই-এর পক্ষ থেকে রণজয় সেনগুপ্ত, আইপোয়া-র নেত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত ও অন্যান্যরা। কনভেনশনের শুরুতে খসড়া পাঠ করেন এই আন্দোলনের প্রথম সারির নেত্রী রাজশ্রী দাস। লিবারেশনের নেতা কার্তিক পাল আন্দোলনকারীদের কৃষক আন্দোলনের হার না মানা লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেন৷ এআইসিসিটিইউ-র কলকাতা জেলা সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী বলেন, “শুধুমাত্র এসএসসি নয়, কলকাতার বুকে টেট, প্রাইমারী, আপার-প্রাইমারী, গ্রুপ-ডি প্রভৃতি বিভিন্ন সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন মঞ্চের সাথে যুক্ত হয়ে আন্দোলন করছে। আজ এমন এক সময় এসেছে, যখন ক্ষমতাসীন শাসকের সঙ্গে এই অসম লড়াইতে জিততে হলে সমস্ত মঞ্চের বিক্ষোভকারীদের একত্রিত হয়ে বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রাস্তায় এগোতে হবে। এছাড়া অন্য পথ নেই।”

deprived job seekers in the 600 days of the movement

মাতঙ্গিনী হাজরার পাদদেশেও অবস্থান করছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। গোটা রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের হাঁ-হুতাশ দেখেও মুখ্যমন্ত্রী নীরব কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বক্তারা। লিবারেশনের যুব সংগঠন আরওয়াইএ-এর রাজ্য সভাপতি অপূর্ব ঘোষ বলেন, “দুর্নীতি যখন হয়েছে, নেতা-মন্ত্রীদের অবশ্যই জেলে পুড়তে হবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হল, যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ কোথায়? চাকরি কোথায়?” আজকে যে ছাত্রছাত্রীরা সরকারি স্কুলগুলোতে পড়ছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ছাত্র আন্দোলনের কর্মী ত্রিয়াশা। সাদা খাতা জমা দিয়ে পাশ করা শিক্ষকদের থেকে ছেলেমেয়েরা কতটা কী শিখবে, সেক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের অশিক্ষার দায় কে নেবে — এই প্রশ্নগুলো রেখেছে ছাত্র সংগঠন আইসা-র প্রতিনিধিরা। ওইদিন আইপোয়ার রাজ্য সম্পাদিকা ইন্দ্রাণী দত্ত এসএসসি আন্দোলনে যুক্ত মহিলাদের ঘরে-বাইরের সংগ্রামকে কুর্নিশ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক নীতীশ রায় সভার শুরুতে গণসঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চের সংগঠক সজল দে।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গণআন্দোলনের নেত্রী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার, মাসুম আখতার, আলতাব হোসেন, অভিনেতা বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষ, সিপিআই(এম)-এর নেতা সুজন চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য গণসংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, আইনজীবী সংগঠন, ছাত্র-যুব সংগঠন, মহিলা সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। পরিশেষে বক্তব্য রাখেন যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চের সভাপতি মইদুল ইসলাম। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকে আরও জোরালো করার অঙ্গীকার করেন মইদুল।

খণ্ড-29
সংখ্যা-43