খবরা-খবর
আয়ারলা’র পূর্ববর্ধমান সপ্তম জেলা সম্মেলন সফল
Conference of AIARLA

মেমারী ১নং ব্লকের নিমো অফিসে সকাল ১১টার সময় সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন স্থান নামকরণ হয় কণা সরকার নগর, শ্যামাপ্রসাদ সভাগৃহ ও নবকুমার বাগদী মঞ্চ। শহীদবেদীতে মাল্যদান ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের সুচনা করেন আয়ারলার রাজ্য পর্যবেক্ষক রাজ্য কমিটির সদস্য গোপাল রায়। সম্মেলন পরিচালনার জন্য বিদায়ী জেলা সম্পাদক আনসারুল আমন মন্ডলের প্রস্তাবে মোজাম্মেল হক, সমীর হাজরা ও তৃণাঞ্জন বক্সীকে সভাপতিমন্ডলী নির্বাচন করা হয়। সভাপতিমন্ডলীর আহবানে পর্যবেক্ষক গোপাল রায় প্রথমে বক্তব্য রাখেন। তিনি রাজ্য তথা দেশের গ্রামীণ মজুরদের জীবন জীবিকার সংকট ও কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের বঞ্চনা, নির্যাতনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং ব্যাপক মেহনতি জনগনের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহবান জানান। প্রতিবেদন পাঠ করেন বিদায়ী সম্পাদক আনসারুল আমন মন্ডল। বিভিন্ন ব্লকের কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন এআইকেএম-র রাজ্য সভাপতি অন্নদা প্রসাদ ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন আয়ারলার রাজ্য সভাপতি সজল পাল। বক্তারা গ্রামীণ মজুরদের আন্দোলনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সমস্যা তুলে ধরেন ও গণসংযোগ অভিযানের অভিজ্ঞতা এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোরালো হস্তক্ষেপের উপর জোর দেন। তারপর বিদায়ী সম্পাদক আনসারুল আমান মন্ডল জবাবী ভাষন দেন। প্রতিবেদন সর্বসন্মতিতে পাশ হয়। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পূর্ববর্ধমান জেলা সম্পাদক সলিল দত্ত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন প্রস্তাব গ্রহণ করে আয়ারলার আসন্ন ১৪-১৫ নভেম্বর হুগলী জেলার চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সম্মেলন সফল করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত রকম সন্ত্রাস মোকাবিলা করে জনগণের জীবন-জীবিকার দাবিগুলোকে অগ্রাধিকারে রাখার মাধ্যমে জোরাল হস্তক্ষেপ করে ব্যাপক সংখ্যক প্রার্থী দিয়ে প্রচারে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেবে।

শেষে ২৫ জনের জেলা কাউন্সিল ও ১১ জনের নতুন জেলা কমিটি নির্বাচন করা হয়। আনসারুল আমন মন্ডল পুনরায় জেলা সম্পাদক নির্বাচিত হন ও মোজাম্মেল হক জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন। সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতিমন্ডলী সম্মেলনের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

খণ্ড-29
সংখ্যা-43