খবরা-খবর
তিলজলায় মহিলা সমিতির প্রতিনিধিদল
women's-association-in-tiljala

গত রবিবার ২৬ মার্চ তিলজলা থানা এলাকায় একটি ৭ বছরের শিশু কন্যাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরে এলাকার মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতর পক্ষ থেকে রাজ্য সম্পাদিকা ইন্দ্রাণী দত্ত, সহকারী সম্পাদিকা চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরী, মিতালি বিশ্বাস এবং প্রতিবিধান পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মধুরিমা বক্সী সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে চাইলে পুলিশের কাছে বাধাপ্রাপ্ত হন। তিলজলা থানার ওসি বলেন ফরেন্সিক বিভাগ থেকে তদন্ত করতে এসেছেন তাই এখন কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যে পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে সেইখানে মূলত শ্রমিক মানুষের বাস। গলির মধ্যে একদম গা ঘেঁষাাঘেসি করে বাড়িগুলো রয়েছে। অঞ্চলের মধ্যে এক গভীর নিস্তব্ধতা। সেইখানেই কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় শিশুটি নিখোঁজ হবার দু-ঘণ্টা পর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইতে গেলে তক্ষুনি পুলিশ এসে পৌঁছায়নি। এলাকায় লোকের মতে ঠিক সময়ে পুলিশ এসে পৌঁছালে হয়তো মেয়েটিকে বাঁচানো যেতে পারতো। শিশুটি যে ফ্ল্যাটে থাকে সেই ফ্ল্যাটের একতলায় অভিযুক্ত অলোক কুমার মেয়েটিকে মাথায় আঘাত করে, স্ক্রু ডাইভারের মতো কিছু জিনিস দিয়ে শিশুটির মাথায় ফুটো করে, হাত পা, মুখ বেঁধে বস্তায় পুরে রেখে দিয়েছিল। মেয়েটির সারা গায়ে নানান আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার সাথে তান্ত্রিক যোগাযোগ নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়েছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তান্ত্রিকের নাম নেওয়া হচ্ছে সেই কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এলাকার লোকের সাহায্য নিয়েই অভিযুক্তকে ধরা হয়। ওইসময় এলাকার মানুষের সাথে পুলিশের খন্ডযুদ্ধ বাধে। মৃতা শিশুটির বডি পোস্টমর্টেম করে এলাকায় না নিয়ে পরিবারকে সাথে নিয়ে পুলিশের আলাদা করে জ্বালিয়ে দেওয়াতেও লোকের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। থানার ওসি মহিলা সমিতির টিমকে জানান এখন এই ঘটনার তদন্ত করছেন লালবাজার হোমিসাইড বিভাগ। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান। এবং খুব সহজেই ফরেনসিক তদন্ত চলাকালীন তিনি পরিবারের সাথে দেখা করতে চলে যান। সেইখানেই প্রেসের সামনেই মহিলা সমিতির টিম ওসিকে উদ্দেশ করে বলেন আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয় না অথচ মন্ত্রী কী করে ঢোকার অনুমতি পায়। এরপর ওসি বাধ্য হয়ে মৃত শিশুটির বাবার সাথে টিমের দেখা করিয়ে দেন। সন্তান হারানো শোকার্তবাবা জানান তাঁরা গরিব মানুষ, তিনি তাঁর মেয়ের খুনির কঠিন শাস্তি চান। সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এবং মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন হয়েছে কিনা তার তথ্য প্রকাশ্যে আনা হোক এবং পকসো আইনে তার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হোক।

খণ্ড-30
সংখ্যা-8