খবরা-খবর
গণতন্ত্রের উপর মোদি সরকারের সার্জিকাল স্ট্রাইক : গণতন্ত্র বাঁচাও সংবিধান বাঁচাও দেশ বাঁচাও
surgical-strike-on-democracy

মোদি সরকার দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা, দেশের গণতন্ত্র, সংসদীয় ব্যবস্থা সহ সমস্ত কিছুর উপর যে সর্বাত্মক আক্রমণ নামিয়ে এনেছে তার বিরুদ্ধে আমরা জনগণের আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। পাশাপাশি আমরা মনে করি বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক ঐক্য এবং নির্বাচনী বোঝাপড়া একান্ত প্রয়োজন। গত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিরোধী ঐক্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় চলে এলো, যদিও তার ভোট ও আসন সংখ্যা দুই-ই কমেছে।

আজ দেশে এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যেখানে শাসকদল নিজেই সংসদ অধিবেশন বানচাল করে দিচ্ছে যাতে আদানি প্রশ্নে কোনো যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ে উঠতে না পারে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ যেভাবে খারিজ করা হয়েছে সেটা সমগ্র বিরোধী শিবিরের উপর এক নজিরবিহীন হামলা যা কার্যত এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। দেশের বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইন বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলছেন, এটা আদৌ কোনো অপরাধমূলক মানহানি সংক্রান্ত বিষয় নয়। যেভাবে দুই বছরের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার কোনো নজির আমাদের দেশে নেই। অথচ বিজেপির বহু নেতা ও মন্ত্রী নানান কুমন্তব্য করেও কোনেরকম শাস্তি পায়নি। তারা বক্তব্য শুরুই করেন নানা কুকথা দিয়ে। আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এ হল বিরোধী শক্তির উপর এক সর্বাত্মক হামলা, যা জরুরি অবস্থার স্মৃতি তুলে ধরছে। এটা কেবল কংগ্রেসের কোনো দলীয় প্রশ্ন বা রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত বিষয় নয়, এটা দেশের গণতন্ত্রের প্রশ্ন।

আজকে দেশে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তুলেছে তা হল আদানি কোম্পানির কর্পোরেট জালিয়াতির প্রশ্ন। এটা হল সরকারের প্রশ্রয়ে এবং সৌজন্যে দুনিয়ার অন্যতম বৃহৎ এক আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা। আমাদের দেশের ব্যাংক, বীমা ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চিত অর্থ ঝুঁকি নিয়ে আদানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই আদানি গোষ্ঠি খুবই সীমিত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে থাকে, সারা দেশে যার সংখ্যা সাকুল্যে ২৩ হাজার মাত্র! এই বিপুল পরিমান টাকা যদি পরিশোধ না হয় তাহলে সেটা আমাদের দেশে ব্যাংকিং সংকট-আর্থিক সংকট-সাধারণ মানুষের জীবিকা ও মজুরি সংকট ডেকে আনবে। তাই এটা দেশের মানুষের বেঁচে থাকার প্রশ্নের সাথে জড়িত।

পশ্চিমবাংলার পরিস্থিতিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি বেশ কয়েকটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন চলছে যেমন ডিএ-র দাবিতে কর্মচারীদের আন্দোলন, নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং স্বচ্ছনিয়োগের দাবিতে ছাত্র যুবদের আন্দোলন প্রভৃতি। এই সমস্ত আন্দোলনগুলিকে আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাই। আজ ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের উপর ত্রিফলা আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। এই খাতে বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনে দু’বার ডিজিটাল হাজিরা এবং মজুরির সাথে আধার সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসবের পরিণতিতে আগামীদিনে কাজ করেও মজুরি না পাওয়ার সংকট তৈরি হবে।

পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। আমরা চাই সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। বিগত দিনে এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন দেখা গেছে। ব্যাপক এলাকায় বিরোধীদের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। বর্তমান সময়কালে বাংলার গ্রামাঞ্চলে আলু চাষি, পেঁয়াজ চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে বঞ্চিত, কেন্দ্র-রাজ্য কাজিয়ার ফলে ১০০ দিনের কাজ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে। এসবের পাশাপাশি এ রাজ্যের সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণরোষ জন্ম নিয়েছে যা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে। আমরা চাই মানুষ যেন মতপ্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকার পায়। সেই অধিকারের দাবিতে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব। সমস্ত বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তি, যারা এ রাজ্যে বঞ্চিত বর্গাদার, গ্রামীণ মজুর, ভাগ ও চুক্তি চাষি, গরিব মানুষের পক্ষে আছেন আমরা তাঁদের সকলের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। জনগণের গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে এই ঐক্য জরুরি।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিরোধী দলগুলির শাসনে তাদের জনবিরোধী কার্যকলাপ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ ফেটে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের নীতি হল তাদের কোনও ছাড় নয়। কিন্তু গোটা দেশের প্রশ্নকে আমাদের অগ্রাধিকারে রাখতে হবে অন্যথায় রাজ্যের লড়াইগুলিও দুর্বল হবে। বিগত পাটনা পার্টি কংগ্রেসে আমরা এই লক্ষ্যে এক জাতীয় সেমিনার সংগঠিত করেছি। বিজেপি-বিরোধী সর্বাত্মক ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছি।

(২৬-২৭ মার্চ কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে জারি করা বিবৃতি থেকে)


protest at moulalimoulali portes

গত ২৩ মার্চ লোকসভার বিরোধী নেতা তথা কংগ্রেস দলের অন্যতম নেতা রাহুল গান্ধীকে ২০১৯ সালের নির্বাচন চলাকালীন একটি বক্তব্যের ভিত্তিতে দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়। অভূতপূর্বভাবে একদিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৪ মার্চ তাঁর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার। এই সময়েই আমরা দেখেছি, দিল্লিতে ‘মোদী হঠাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগান লেখা পোস্টার ছাপানোর অভিযোগে একশোর বেশি এফআইআর ও বেশ কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করছে দিল্লি পুলিশ। বিবিসি’র ‘মোদী কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনের অভিযোগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। দেশ জুড়ে মানুষের মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে সমস্ত বিরোধী স্বরকে স্তব্ধ করতে কোনও কসুর করছে না ফ্যাসিস্ট মোদী সরকার।

২৫ মার্চ মৌলালি মোড়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সিপিআই(এমএল) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড অভিজিৎ মজুমদার বলেন যে ঠিক যে সময়ে রাহুল গান্ধী বিরোধী নেতা হিসেবে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের মাধ্যমে সামনে আসা আদানির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংসদে জোরালো সওয়াল করছেন তখনই এই আক্রমণ নামানো হল। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা যখন পুরনো পেনশন ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করছেন তখন মোদী সরকার ফরমান জারি করে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ জানানোর অধিকারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে। কাশ্মীরের প্রথিতযশা সাংবাদিক ইরফান মেহরাজকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। কন্নড় অভিনেতা চেতন কুমার কে একটি ‘হিন্দুত্ব’ সংক্রান্ত টুইটের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে কর্ণাটকের পুলিশ। অর্থাৎ যেন তেন প্রকারেণ মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত আওয়াজকে দমন করতে বদ্ধ পরিকর এই সরকার। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আজ আমাদের সবার কর্তব্য।

বিক্ষোভ সভার প্রধান বক্তা ছিলেন সিপিআই(এমএল) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর সংসদের পদ খারিজ ভারতের গণতন্ত্রের উপরে এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যা নামিয়ে আনা হচ্ছে আইনি ও রাজনৈতিক – উভয় কৌশল প্রয়োগ করে। দিল্লির বুকে দাঙ্গা গণহত্যার সরাসরি প্ররোচনা দেওয়া বিজেপি নেতাদের ‘গোলি মারো’ স্লোগানের বিরুদ্ধে আদালতে গেলে আদালত সেই ‘নির্বাচনী ভাষণে’র মধ্যে কোন অপরাধ খুঁজে পায় না, কিন্তু বিরোধী দলের নেতাদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য মানহানির মামলা এনে সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা করে দেওয়া হয় যাতে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া যায়। ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ণ রোখার আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে বিরোধী মতকে দমন করতে, অথচ বিজেপির নেতা যারা খোলাখুলি সাম্প্রদায়িক ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছেন তাদের কোনো সাজা হচ্ছে না। সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক কাঠামোকে নস্যাৎ করে ভারতের রাজনৈতিক পরিসর, সংসদে, মিডিয়া সহ সর্বক্ষেত্রে আজ বিরোধী-শূন্য করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট আদানির কর্পোরেট জালিয়াতির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক, এলআইসি সহ নানান ক্ষেত্রের সঙ্কটকেও সামনে নিয়ে এসেছে। এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললেই আক্রমণ নামছে শুধু রাহুল গান্ধীর উপরেই নয়; ছাত্র, গবেষক, সাংবাদিক, অভিনেতা সবার উপরে। সুরাতের নিম্ন আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই রায় আসলে ২০২৪ এ নির্বাচনে বিরোধী শিবিরকে দুর্বল করে দেওয়ার চক্রান্ত। এই আইনি ও রাজনৈতিক ছকের বিরুদ্ধে আজ দরকার সার্বিক বিরোধী ঐক্যের। এই মুহূর্তে ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে চলমান সমস্ত রাস্তার আন্দোলনগুলির মধ্যে ঐক্য, বিরোধী দলগুলির সংযুক্ত প্রতিরোধ আজ সময়ের দাবি। সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কার্ত্তিক পাল, পার্থ ঘোষ, ইন্দ্রাণী দত্ত, অতনু চক্রবর্তী, বাসুদেব বসু সহ আরও অনেকে। সভা পরিচালনা করেন কমরেড দিবাকর ভট্টাচার্য। বিক্ষোভসভায় শেষ বক্তা ছিলেন সিপিআই(এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সুচেতা দে। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর সাজার মধ্যে দিয়ে আসলে দেশের প্রতিবাদী আন্দোলনরত মানুষদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে মোদী-অমিত শাহ ও তাদের আর্থিক মদতদাতা আদানি-আম্বানির বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না। গণআন্দোলনের নেতাদের উপর ইউএপিএ’র মতো আইন প্রয়োগ করে তাদের দিনের পর দিন জেলে আটক করে রেখে, বিরোধী দলের নেতাদের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে আক্রমণের নিশানা বানানো হচ্ছে দেশ জুড়ে। দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানকে বাঁচাতে, দেশের মানুষ ও সম্পদকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এটাই সময়। বিক্ষোভ সভা শেষ হয় মৌলালি মোড়ে ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোর মধ্য দিয়ে। স্লোগান ওঠে, মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও! গণতন্ত্র বাঁচাও দেশ বাঁচাও!


hooghly

protest at hooghly

২৬ মার্চ হুগলির চকবাজারে সিপিআই(এমএল)’র পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিনটা রবিবার হওয়ায় বাজারে ভিড় ছিল ভালোই। সভা শুরুর আগে প্রস্তুতির কাজ যখন চলছে সেই সময় মোদির কুশপুত্তলিকার সামনে বাজার করতে আসা একজন বাইক থামিয়ে বললো “মোদি নিপাত যাক”। স্থানীয় মানুষ জব্বারদা আমাদের সংগঠন করেন না, সভা চলাকালীন তিনি আমাদের পাতা চেয়ারে বসে থেকে বক্তব্য শুনলেন অনেকক্ষণ। পথ চলতি ও বাজার করতে আসা মানুষ উৎসাহভরে বক্তব্য শুনেছেন। সংগঠনের নির্মাণকর্মী, বাস শ্রমিক এবং মধ্যবিত্ত সাথীদের অংশগ্রহণও ছিল প্রাণবন্ত। পরিস্থিতি পার্টি কংগ্রেসে চিহ্নিত ফ্যাসিবাদের বিপদ ও তাকে মোকাবিলা করার কাজকে মূর্ত করে তোলে এবং কমরেডরাও তাতে সাড়া দেন। সভা চলাকালীন নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়, সমস্বরে স্লোগান ওঠে, “মোদী হঠাও, দেশ বাঁচাও”, “গণতন্ত্রের উপর ফ্যাসিবাদের সার্জিকাল আক্রমণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্য গড়ে তুলুন”। সভায় বক্তব্য রাখেন শ্যামল মজুমদার, সনৎ রায়চৌধুরী, সুদর্শন বসু ও ভিয়েৎ, সভাটির সঞ্চালনা করেন কল্যাণ সেন।


cc metting

solidarity

সিপিআই(এমএল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জাতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক মল্লিকার্জুন খড়গের কাছে পাঠানো এক লিখিত বার্তাতে বলেন,

“লোকসভা থেকে শ্রী রাহুল গান্ধীকে ডিসকোয়ালিফাই করার মর্মান্তিক ঘটনায় আমাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে এই চিঠি। ২০১৯ সালের প্রচারাভিযানের বক্তৃতার জন্য তাঁকে মানহানির ফৌজদারি মামলায় ফাঁসানো এবং গুজরাটের আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাথে সাথে তাঁর সাংসদ পদ ডিসকোয়ালিফাই করার এই ঘটনা ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্রের উপর এক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছাড়া আর কিছু নয়। মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলে জবাব চাওয়ায় এবং আদানি কেলেঙ্কারির তদন্তে জেপিসি গঠনের জন্য বিরোধিরা জোরদার দাবি তোলায় মোদি সরকার প্রতিশোধমূলক আচরণ হিসেবে এটা করেছে।

আমরা এরকম সময়ে কংগ্রেসের সাথে আমাদের পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি এবং গণতন্ত্রের উপর এই প্রতিহিংসার রাজনীতি তথা নির্লজ্জ আক্রমণের বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাবেশিত হওয়ার জন্য আরও একবার আবেদন জানাচ্ছি।”


খণ্ড-30
সংখ্যা-8