হুগলি জেলায় রন্ধনকর্মীদের ডেপুটেশন
deputation in-hooghly-district

৪ এপ্রিল পোলবা দাদপুর ব্লকের রন্ধনকর্মীরা “পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধনকর্মী (মিড-ডে-মিল) ইউনিয়ন”-এর ব্যানারে ডেপুটেশন দেন। কয়েক মাস ধরে পোলবা-দাদপুর ব্লকের রন্ধনকর্মীদের মধ্যে আশঙ্কা দানা বাঁধছিল। কারণ স্কুল মাস্টাররা তাঁদের গোষ্ঠীর আইডি নাম্বার নিয়েছেন আবার বেশ কিছু স্কুলে গোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও গোষ্ঠী করতে বলেছেন কিন্তু কোনো কারণ জানাননি তাঁরা। “উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে” রান্নার ট্রেনিংয়ে উত্তীর্ণ বেশ কিছু কর্মীর জেলা প্রশাসন থেকে বিডিও-তে পাঠানো সার্টিফিকেটে বাবার নাম ভুল থাকায় তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। যেহেতু কর্মক্ষেত্রে তাঁদের কোনো স্বীকৃতি নেই তাই তাঁরা এই সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আবার এই প্রকল্পের আধিকারিক বলেছেন, ভবিষ্যতে এই সার্টিফিকেট কাজে লাগতে পারে। তাই বিডিওর কাছে দরখাস্ত করে আবেদন জানানো হয়, দ্রুত নির্ভুল সাটিফিকেট ও ট্রেনিং বাবদ তাদের প্রাপ্য ৫০০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিডিও জানান, তিনি এই দাবি পূরণ করার চেষ্টা করবেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার গোষ্ঠী করার ওপর জোর দিয়েছে সেজন্য আইডি নাম্বার নেওয়া হয়েছে এবং কোন স্কুলে নতুন করে গোষ্ঠী করার কোনো বাধ্যতা নেই সুতরাং চিন্তার কোনো কারণ নেই। ছাত্রর অভাবে যে‌ স্কুল বন্ধ হয়েছে এবং পাশের স্কুল চালু আছে সেখানে মিড-ডে-মিল রন্ধন কর্মী নিয়োগের বিধি অনুযায়ী বন্ধ স্কুলের কর্মীকে নিয়োগ করা হবে, এ রকম একজন কর্মীর দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়। এছাড়া দাবি রাখা হয়, ভাতা বৃদ্ধি, দশ মাস নয় বারো মাস ভাতা‌ এবং উৎসবে বোনাস দিতে হবে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা ইউনিয়ন সভানেত্রী চৈতালি সেন সহ ছয় জন রন্ধনকর্মী। এই আন্দোলনে রন্ধন কর্মীদের মধ্যে বেশ লড়াকু মেজাজ লক্ষ্য করা যায়।

খণ্ড-30
সংখ্যা-9