খবরা-খবর
ডিএ আন্দোলনকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাবার উদ্যোগ নিলেন সরকারী কর্মচারী ও শিক্ষকেরা
movement-to-the-national-level

দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকেরা তিনটি মূল দাবি নিয়ে আন্দোলন ধর্না চালাচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ন্যায্য ডিএ, সমস্ত ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ ও সরকারি ক্ষেত্রে চাকুরিরত অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণ। ধর্নার পাশাপাশি অনেকদিন অনশনও করেছিলেন কয়েকজন। শেষপর্যন্ত রাজ্যপালের অনুরোধে অনশন তুলে নিলেও অবস্থান আন্দোলন বজায় থাকে। রাজ্যপালের চেষ্টা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে কেউ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। বরং নানা ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন। আন্দোলনে ঘৃতাহুতি দেয় কলকাতা পুরসভার মেয়র থেকে মুখ্যমন্ত্রীর করা এইসব কুৎসিৎ মন্তব্য। ১০ মার্চ ধর্মঘট-এর বিপুল সাফল্যের পর ৩০ মার্চের মিছিল ও শহীদ মিনার সমাবেশ জনপ্লাবনে ভরে ওঠে। সমস্ত বিরোধী দল এই আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়ায়। রাজ্যের পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও এই আন্দোলনের বার্তাকে নিয়ে যাবার উদ্যোগ গৃহীত হয়। সেই সূত্রেই ঠিক হয় ১০ ও ১১ এপ্রিল এই দুদিন দিল্লির যন্তর মন্তর চত্বরে ধর্নায় বসবেন আন্দোলনের নেতৃত্ব। সোমবার, ১০ মার্চ সকাল ১১টা থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ডিএ-র দাবিতে ধর্নায় বসেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রায় ৫০০ সদস্য। দু’দিনের এই ধর্না কর্মসূচি চলাকালীন আন্দোলনকারীদের তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কথাও রয়েছে।

দিল্লির ধর্না থেকে আন্দোলনকারীরা ফেরার পর তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের শীর্ষ স্তরের আমলাদের বৈঠক করতে হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট এর ডি এ সংক্রান্ত মামলায় কর্মচারিদের পক্ষে দেওয়া রায়কে না মেনে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে শুনানি এখনো শুরু হয়নি। এখন দেখার আলোচনায় বসার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে রাজ্য সরকার মেনে নেয় না উচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধেও আপিল করে।

খণ্ড-30
সংখ্যা-10