খবরা-খবর
নরেগার বরাদ্দ বাড়াতে বলল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি
allocation-of-mnrega

কেন্দ্রীয় সরকার এক ধাক্কায় নরেগা প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ ২০২৩-২৪ এর আর্থিক বছরের জন্য ২১.৬৬ শতাংশ ছেঁটে দিয়েছে যা গত পাঁচ আর্থিক বছরে সর্বনিম্ন। নরেগার বাজেটে এই বরাদ্দ কমার ফলে তা নেমে এসেছে প্রাক কোভিডকালীন পর্যায়ে। ঘোর কোভিডকালে, দেশব্যাপী লকডাউনের সময় কাজ খোয়ানো অগণিত পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামের নিজ নিজ ঘরে ফিরে এই ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে দিন গুজরান করেন। এই প্রকল্পটি তখন হয়ে উঠেছিল ডুবন্ত মানুষের কাছে বেঁচেবর্তে থাকার শেষ খড়কুটো। যেভাবে এই প্রকল্পের বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁট করা হয়েছে তাতে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট জানিয়েছে, “নরেগার গুরুত্ব ও ভূমিকা অতিমারীর সময়ে খুব ভালোভাবেই সামনে আসে। গভীর দু:সময়ে এই প্রকল্পটি আশার আলো হয়ে ওঠে। এই প্রকল্পের গুরুত্ব বুঝেই তারপর ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ এর সংশোধিত বাজেটে বা রিভাইসড এস্টিমেটে এই খাতে তহবিল অনেক বৃদ্ধি করা হয় — ৬১,৫০০ কোটি থেকে ১,১১,৫০০ কোটি টাকায়, আর ৭৩,০০০ কোটি থেকে ৯৯,১১৭.৫৩ কোটি টাকা যাতে অতিমারীর সময়ে বর্ধিত চাহিদাকে সামাল দেওয়া যায়।

সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি জানিয়েছে, “নরেগার তহবিলকে সংকুচিত করার যুক্তি কমিটির কাছে বোধগম্য নয়। যেহেতু এই প্রকল্পের যথোপযুক্ত রূপায়ণ খুবই জরুরি, তাই কমিটি জোরালোভাবেই মনে করে, যেভাবে এই খাতে বাজেটবরাদ্দ হ্রাস করা হল, তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক আবার নতুন করে পুনর্বিবেচনা করে দেখুক”।

সংসদীয় কমিটি মজুরির হার বাড়ানোর জন্যও জোরালো সওয়াল করেছে। সারা দেশের জন্য সমহারে এই মজুরি চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, কর্মদিবস বাড়ানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।


২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে এ রাজ্যের নরেগার তহবিল আটকে দিল কেন্দ্রীয়

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে পশ্চিমবাংলার জন্যবরাদ্দ ২০২৩-২৪এর অর্থবর্ষের তহবিল বন্ধ রাখা হচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের ২৭ নং ধারা বলে এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে। নীচুতলায় এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম ২০২১’র ডিসেম্বরে ওই আইনের ধারায় সমস্ত বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়।

এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবাংলা কেন্দ্রের কাছ থেকে পায় ৭,৫০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বকেয়া মজুরির পরিমাণই হল ২,৭৪৪ কোটি টাকা। যে সমস্ত মজুররা এই প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছিলেন তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য মজুরি আজ পর্যন্ত পেলেন না।

পশ্চিমবাংলা হল দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানে ওই ধারা প্রয়োগ করে সমস্ত তহবিল আটকে রাখা হয়েছে।

তথ্য সূত্র : দ্য হিন্দু, মার্চ ২০, ২০২৩ 


খণ্ড-30
সংখ্যা-10