বিহারে বন্দীদের এভাবে বেছে বেছে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কেন?
released-selectively-in-bihar

১৪ বছর কারাগারে পূর্ণ করেছে এমন ২৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, অথচ আরওয়ালের ছয় জন গ্রামীণ দরিদ্র কর্মী - কমরেড জগদীশ যাদব, চুরামন ভগত, অরবিন্দ চৌধুরী, অজিত সাউ, লক্ষ্মণ সাউ, শ্যাম চৌধুরী, যারা ২২ বছরের বেশি সময় ধরে জেলে ছিলেন তাঁদের বাদ দেওয়া হল! এঁরা হচ্ছেন সেই চৌদ্দ জন কমরেডদের মধ‍্যে বেঁচে থাকা সদস্যরা যারা ২০০৩ সালে বিচারের নামে প্রহসনের মাধ‍্যমে টাডা আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এই ১৪ জন টাডা-বন্দীদের মধ্যে ছয়জন - কমরেড শাহ চাঁদ, মদন সিং, সোহরাই চৌধুরী, বলেশ্বর চৌধুরী, মাহাঙ্গু চৌধুরী এবং মাধব চৌধুরী - ইতিমধ্যে কারাগারে মারা গেছেন।

১৪ জন টাডাবন্দী কমরেডদের মধ্যে মাত্র একজন, কমরেড ত্রিভুবন শর্মাকে ২০২০ সালে হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছিল। তারপর থেকে তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে, আরও একজন টাডাবন্দী জেলে মারা গেছেন, এবং এখন বন্দীদের এইভাবে বেছে বেছে মুক্তি দেওয়ার মাধ‍্যমে ঐ ভুক্তভোগীদের উপর আরও একবার অবিচার করা হল যারা ইতিমধ্যেই বিহারের জেলে তাঁদের জীবনের দুই দশকেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন।

বন্দীদের মুক্তির নীতি অবশ্যই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়া দরকার। সমস্ত টাডা-১৪ বন্দীদের মুক্তি দিন। নিষেধাজ্ঞা আইনে অন্যায়ভাবে অবরুদ্ধ সকল নির্যাতিত দরিদ্র মানুষকে মুক্তি দিন।

- দীপাঙ্কর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআইএমএল

খণ্ড-30
সংখ্যা-12