দেশ যাচ্ছে কোথায়?


the-country
২০০২ সালে গুজরাতে নারোদা গামে হিন্দুত্ববাদী আক্রমণে সংঘটিত গণহত্যায় অভিযুক্ত সকলকেই যথারীতি তথ্যপ্রমাণের অভাবের দোহাই দিয়ে বেকসুর বলে খালাস করে দেওয়া হল গত ২০ এপ্রিল ২০২৩ এক সিট কোর্ট থেকে। ঐ ঘটনায় ১১ জনকে হত্যা সহ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, যথেচ্ছ হাঙ্গামা ও লুঠতরাজ চালানো হয়েছিল। মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ জন, যারমধ্যে ছিলেন গুজরাতের বিজেপি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোডনানী, বজরং দলের পান্ডা বাবু বজরঙ্গী ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক মাথা গোছের জয়দীপ পটেল প্রমুখ। ঐ পর্বে গুজরাতে সবচেয়ে পাঁচটি যে ধ্বংসকাণ্ড সংগঠিত হয় তারমধ্যে একটি হল নারোদা গাম গণহত্যা, অপরটি হল নারোদা পাটিয়া গণহত্যাকান্ড। এই মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা ছিল শতাধিক। মায়া কোডনানীর পক্ষে প্রধানতম সাক্ষ্য দেন অমিত শাহ। বিজেপির এই দু’নম্বর নেতা সাক্ষ্যদানে বুঝিয়ে দেন মায়া কোডনানী ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না। সিট কোর্টে খালাস ঘোষণার রায়দানের দিন গেরুয়া বাহিনীর লোকেরা মুহুর্মুহু শ্লোগান দিতে থাকে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারতমাতা কী জয়’! বিপরীতে, নারোদা গামের বিচারপ্রার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই এই চরম অবিবেচনাপ্রসূত রায় মেনে না নেওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সিট কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে গুজরাত হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

(দি টাইমস্ অব ইন্ডিয়া, ২১ এপ্রিল ২০২৩)

suspend for urdu song
the-country-going
স্কুলে নমাজ পড়ানো হচ্ছে ধূয়ো তুলে অভিভাবকদের একাংশকে নিয়ে প্রতিবাদী বিক্ষোভ শুরু করেছিল কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তার জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের একটি বেসরকারী স্কুলের অধ্যক্ষ ও দুই শিক্ষককে। স্কুলের উপাধ্যক্ষ জানান, গত ১৮ এপ্রিল বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস এবং ঈদ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মহম্মদ ইকবাল রচিত “লব পে আতি হ্যায় দুয়া বনকে” গানটি গাওয়া হয়। তিনি বলেন, “মোটেও নমাজ পড়া হয়নি। আর গান গাইতে জোরও করা হয়নি কাউকে।” তবে বিক্ষোভের জেরে স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে অধ্যক্ষ সোনিয়া ম্যাকফার্সন এবং দুই শিক্ষক ইরফান ইলাহি ও কানওয়ার রিজওয়ানকে সাসপেন্ড করেন। জেলা প্রশাসনও তদম্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

(আনন্দবাজার পত্রিকা, ২১ এপ্রিল ২০২৩)

defence
country-going
ভারত বর্তমান বিশ্বে সামরিক ব্যয়ে চতুর্থ বৃহত্তম স্থানে পৌঁছে গেছে। ২০২২-এ প্রাপ্ত হিসাব বলছে, গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রেই সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে, বৃদ্ধি ঘটেছে ৩.৭ শতাংশের মতো, মার্কিন ডলারের হিসাবে ২,২৪০ বিলিয়ন। এই ব্যয়বৃদ্ধির প্রশ্নে বিশ্বে প্রথম ১০টি রাষ্ট্রের মধ্যে ভারতের স্থান এখন মার্কিন, চীন, রাশিয়ার ঠিক পরেই, চতুর্থ স্থানে। চীনের ক্ষেত্রে ব্যয়বরাদ্দের বৃদ্ধি ঘটেছে যখন চারগুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন বৃদ্ধি ঘটিয়েছে দশগুন। আমেরিকা, চীন ও রাশিয়ার ব্যয়ের অঙ্ক যথাক্রমে ৮৭৭, ২৯২ ও ৮৬.৪ বিলিয়ন ডলার। ভারতের সামরিক খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ৮১.৪ বিলিয়ন ডলার। সূত্রের খবরে প্রকাশ, ভারতের ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সামরিক বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছে জিডিপি’র ১.৯৭ শতাংশ, যদিও সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, বৃদ্ধি করা প্রয়োজন জিডিপি’র অন্তত ২.৫ শতাংশ।

(দি টাইমস্ অব ইন্ডিয়া, ২৫ এপ্রিল ২০২৩)

খণ্ড-30
সংখ্যা-14