শিশু সুরক্ষা কমিশনে মহিলা সংগঠনগুলি
child-protection-commission

৩ মে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি, অল ইন্ডিয়া রেভল্যুশনারি উইমেন্স অর্গানাইজেশন, ফেমিনিস্টস ইন রেজিস্ট্যান্স, মহিলা স্বরাজ, শ্রমজীবী নারী মঞ্চ, শ্রমজিবী মহিলা সমিতি, নারী চেতনা সংগঠন মিলে শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাথে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ রাজ্যের শিশু নির্যাতন এবং কালিয়াগঞ্জ-কালিয়াচকের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। ডেপুটেশন শেষে ছোট মিছিল করে উল্টোডাঙ্গা স্টেশন পর্যন্ত আসা হয়। এবং খুব অল্প সময়ের জন্য রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দেওয়া হয়।

শিশু সুরক্ষা কমিশন জানায় যে তাঁদের তদন্তে জানা গেছে যে স্থানীয় যুবকটির সাথে কিশোরির ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়ে বাড়ির লোকেদের অমত ছিল। তাঁরা ওকে মারধোরও করে। সেদিন মেয়েটি ছেলেটিকে দেখা করতে বলে। এদিকে ছেলেটির বাবাও ছেলেটিকে আটকে রেখেছিলো, ছেলেটি লুকিয়ে ২০ কিমি পথ হেঁটে যখন মেয়েটির সাথে দেখা করতে আসে ততক্ষণে মেয়েটি বিষ খেয়ে ফেলেছে। ছেলেটি সারারাত মেয়েটিকে ধরে পুকুরপাড়ে বসে ছিল। সকাল হতে বাড়ি যায়। বাবা আর ছেলে গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে।

সবাই সেই সময় বলতে থাকে মেয়েটির গণধর্ষণ হয়েছে। মেয়েটির রাজবংশী পরিবার মৃতদেহ নিয়ে চারিদিকে আগুন লাগিয়ে গোল করে বসে থাকে। তখন পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে ফেলে। কমিশন পুলিশের এই আচরণকে সমালোচনা করে। শিশু সুরক্ষা কমিশন তাঁদের এই তদন্তের রিপোর্ট দিলেও, অদ্ভুত বিষয় হল, সালিশি সভার ভূমিকা অস্বীকার করে। তারা বলে মুসলিম ছেলেটির বাবা পঞ্চায়েতে গিয়েছিল, ছেলেটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পর। তখন মেয়েটির পরিবারকেও ডেকে পাঠানো হয়। তারা ভাবে ছেলেমেয়ে জুটি বোধহয় পালিয়ে গেছে।

ডেপুটেশনের পক্ষ থেকে বলা হয় গ্রামে গ্রামে এই নিয়ে সচেতনতা ক্যাম্প করার উদ্যোগ নিক কমিশন। তারা সেখানে বাল্য বিবাহ রোখার জন্য চাইল্ড কমিশন কী করছে সেই নিয়ে আমাদের বলতে থাকেন। আলোচনা দীর্ঘক্ষণ চলার পর তাঁরা জানান কোথাও কোনরকম শিশু নির্যাতন বা থানায় রিপোর্ট না নিতে চাইলে আমরা যেন তাঁদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করি। আর কালিয়াগঞ্জ ঘটনাকে তারা নজরে রাখছেন। বর্তমানে মুসলিম ছেলেটি নামে সব দোষ চাপিয় পক্সো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

খণ্ড-30
সংখ্যা-13