বিহারে আশা কর্মীদের ধর্মঘট
asha-workers-strike

বিহারে আশা কর্মীদের ধর্মঘট ২৪ দিন অতিক্রান্ত হল। কিন্তু সরকার তাদের অধিকার ও মর্যাদার দাবিগুলোকে আজও পূরণ করল না।

প্রায় মাসখানেক হতে চললো রাজ্য সরকারের এই অসংবেদী আচরণের জন্য গোটা গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থমকে দাঁড়িয়েছে — এটা বললেন শশী যাদব, যিনি নয় দফা দাবি সনদের ভিত্তিতে গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মীদের এই ঐতিহাসিক আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিহারের স্বাস্থ্য দপ্তর এই সমস্ত অগণিত কর্মীদের সম্মানজনক ভাতা ও ন‍্যূন‍তম অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা দিতে অস্বীকার করছে। বর্তমানে বিহারের আশা কর্মীরা অন্যান্য অনেক রাজ্যের আশা কর্মীদের তুলনায় অনেক কম ভাতা পান। কোনো কোনো রাজ্যে পেনশন ছাড়াও আশা কর্মীরা অবসরের সময় এক লক্ষ টাকা পান, কিন্তু বিহারে এসবের বালাই নেই।

মহা গঠবন্ধনের সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আজ এই সরকারই ক্ষমতায় রয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব যিনি স্বাস্থ্য দফতরেরও মন্ত্রী তিনি আশা কর্মীদের মাসিক ভাতাকে মাসিক মজুরিতে রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু বারবার এই নিয়ে তার কাছে দাবি জানানো সত্ত্বেও তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখেননি। এখন রাজ্য সরকার ধর্মঘটী স্বাস্থ্য কর্মীদের আন্দোলনকে ভাঙতে দমনের পাশাপাশি ভীতি প্রদর্শনের রাস্তা নিয়েছে। কিন্তু ধর্মঘটী আশা কর্মীরা তাদের দাবিতে অবিচল রয়েছেন।

বিহারে সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক কুনাল বিহার সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ধর্মঘটী আশা কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা শুরু করা এবং তাদের জীবন্ত সমস্যাগুলিকে সমাধান করার। সিপিআই(এমএল) ধর্মঘটী আশা কর্মীদের উপর নামিয়ে আনা হামলা ও ভীতি প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, মাসিক দশ হাজার টাকা মজুরি ও পেনশনের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে তারা ধর্মঘটের পথে পা বাড়াতে বাধ্য হন।

সরকারি হুমকি, দমন পীড়নকে অগ্রাহ্য করে আশা কর্মীদের ধর্মঘট এগিয়ে চলেছে।

খণ্ড-30
সংখ্যা-26