সনৎ রায়চৌধুরীর স্মরণসভা
sanat-roy-chowdhury

চুঁচুড়া কিশোর প্রগতি সংঘের সভাগৃহে গত ৩০ জুলাই ২০২৩ প্রয়াত সনৎ রায়চৌধুরীর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, এপিডিআর, চুঁচুড়া শ্রমজীবী উদ্যোগ ও ব্যক্তিবর্গের মিলিত প্রয়াসে গড়ে ওঠা স্মরণসভা কমিটি ছিল এই সভার আয়োজক। দ্বিতলে অবস্থিত সভাগৃহের সিঁড়ির মুখে, কক্ষের প্রবেশপথের একপাশে কোথাও পরিচিত হাস্যমুখ, কোথাও বক্তৃতারত সনৎদার প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পর মেহুলির (চক্রবর্তী) ছোঁয়া গায়কীতে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি পাঠ করেন কল্যাণ সেন। সভাপতিমন্ডলীর পক্ষ থেকে ছয়ের দশক থেকে সনৎদার রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গী অমিতদ্যুতি কুমার বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন এপিডিআর, হুগলি-চুঁচুড়া বইমেলা, চুঁচুড়া শ্রমজীবী উদ্যোগ, স্বরান্তর কিশোর প্রগতি সংঘের অমল রায়, জয় গোপাল দে, দেবাশিস গুপ্ত, গোপাল চাকী, সুদীপ রায়, বিশ্বজৎ হালদার, দেবু গুপ্ত, অভিজিৎ নন্দী।

chowdhury's-memorial-meeting

সনৎদার এক ছাত্রী সায়ন্তি ঘোষ তাঁর জীবনে সনৎদার সহজ সরল জীবন, রাজনৈতিক মূল্যবোধের গভীর প্রভাবের কথা বলেন। মাঝে গান গেয়ে শোনান বাবুনি মজুমদার। সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের হুগলি জেলা সম্পাদক প্রবীর হালদার আটের দশকে পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে এক সেতুবন্ধ হিসেবে সনৎদার ভূমিকা, জেলার শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনে আত্মীক ও শারীরিক উপস্থিতি, মার্কসবাদকে জীবনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করা, পার্টিতে তাঁর স্নেহ ভরা অভিভাবকত্বের বিভিন্ন ভূমিকা নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন। পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কার্তিক পাল বলেন সমগ্র পার্টি পরিবার ও সাথীদের শোকের অংশীদার। পার্টির অগ্রগতি সম্পর্কে সনৎদার ঔৎসুক্য, আশা, পার্টির যেকোনো কাজে তাঁর অবাধ অংশগ্রহণ সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন সনৎদাকে স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায় আজকের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকার এক হওয়া। সভা থেকে মণিপুরের জাতিদাঙ্গা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সবশেষে সরিৎ-মিঠু-মেহুলি-বাবুনি সমবেতভাবে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত গেয়ে শোনান। সভার কাজ সঞ্চালনা করেন স্বপন মাতব্বর, শ্যামল ঘোষ ও ভিয়েত ব্যানার্জি।

খণ্ড-30
সংখ্যা-26