বিবৃতি
সাতটি উপনির্বাচন, একটাই ইঙ্গিত
only-one-indication

৫ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচনগুলির ফলাফল সামনে এসে গেছে। ওপর থেকে দেখলে আপাত কোনো পরিবর্তন নাই — এনডিএ — ৩, ইন্ডিয়া — ৪। কিন্তু একটু গভীরে নজর দিলেই বোঝা যাচ্ছে যে ভেতরে ভেতরে অনেক কিছু বদলে গেছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তনটা ঘটেছে ইউপিতে, যে রাজ‍্য লোকসভায় সবচেয়ে বেশি সংখ‍্যক সদস‍্য পাঠায়।

ঘোসি উপনির্বাচন কোনো মৃত‍্যুজনিত কারণে ঘটেনি, ঘটেছে দলত‍্যাগের কারণে। সমাজবাদী পার্টির পূর্বতন এমএলএ দলত‍্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন এবং বিজেপির টিকিটে পুনর্নির্বাচিত হতে মাঠে নামেন। মোদী-শাহ-যোগীর ‘ডাবল ইঞ্জিন’ ব‍্যবস্থাপনার সমগ্র পরাক্রম তাঁর পেছনে ছিল। বিজেপিকে হারিয়ে দিয়ে ঘোসির জনতা সর্বশক্তিমান যোগী শাসনকেই পরাস্ত করেছে। এবং পরাজিত করার বিপুল মার্জিন এই বার্তাটিকেই আরো সোচ্চার করেছে।

ঝাড়খণ্ডের ডুমরিতেও লড়াই ছিল কঠিন ও তীব্র। ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রখ‍্যাত নেতা জগন্নাথ মাহাতো সহজেই জয় নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন কারণ বিজেপি ও আজসু আলাদা আলাদা লড়েছিল। এবারে আজসুর পেছনে সর্বশক্তি নিয়ে ছিল বিজেপি, যারা আবার বাবুলাল মারাণ্ডির নেতৃত্বে চলা পূর্বতন জেভিএম’এর পূর্ণ সমর্থন ভোগ করে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) লিবারেশনের গিরিডি জেলা ইউনিট জেএমএম’এর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার অভিযানে সর্বশক্তি নিয়ে যোগ দেয়। বিজেপি-আজসু যুগলের পরাজয়কে তাই ঝাড়খণ্ডে সমগ্র ইন্ডিয়া শিবিরেরই লক্ষ‍্যভেদ বলা চলে।

পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের দিকেও নজর করা যাক। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ‍্যে দিয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছে টিএমসি। ২০২১’র নির্বাচনে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ঝড় তুলে জিতেছিল, কিন্তু হাওয়া এবারে ঘুরতে শুরু করেছে বলে মনে হয়।

- দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন

খণ্ড-30
সংখ্যা-32