বিবৃতি
চোপড়ায় বন্ধ চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিকদের উপর হামলা
tea-gardens-in-chopra

২১ আগস্ট সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন — উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার অন্তর্গত আমবাড়ি-লোধাবাড়ি এলাকার পেয়ারেলাল টি কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের অধীন অধুনা বন্ধ চা বাগানের আদিবাসী শ্রমিক পরিবারগুলির ওপর প্রাণঘাতী হামলা নামিয়ে আনে বাগানের নতুন মালিক আশ্রিত জমি মাফিয়াদের বিশাল বাহিনী। গুরুতর আহত হন ১৪ জন আদিবাসী শ্রমিক। এরমধ্যে ১২ জন শিলিগুড়ি সংলগ্ন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত হন। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে ৩ জন আঘাতের গভীরতা নিয়ে এখনও মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের রাজ্য কমিটি সদস্য পবিত্র মোহন সিংহের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধানকারী দল আহতদের সঙ্গে দেখা করে এই ভয়াবহ আক্রমণের প্রেক্ষাপট বিশদে জানতে পারে।

জানা যায় যে, এই বাগানটির মালিকানার হাতবদল হয় বছর পাঁচেক আগে। নতুন মালিক বাগানটিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার পরিবর্তে স্থানীয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত জমি মাফিয়া ও আদিবাসী সেঙ্গেল সংগঠনের কিছু দলছুট নেতাকে হাত করে বাগানের সরকারীভাবে লিজপ্রাপ্ত ১০০ একর জমি বে-আইনিভাবে পর্যায়ক্রমে জমি মাফিয়াদের মাধ্যমে প্লটে প্লটে বিক্রি করতে শুরু করে। সেই সূত্রে বাগানে বসবাসকারী মালিকের অপকীর্তি — বিরোধী আদিবাসী চা শ্রমিকদের উৎখাত করতে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রায় ১৫০ জনের সশস্ত্র দল নিয়ে শ্রমিকবস্তিতে হামলা চালিয়ে ৫০টির বেশি বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এবং প্রতিবাদীদের ওপর ছররা গুলি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। অকুস্থলে পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মচারীরা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পালিয়ে যায়।

আমরা দাবি জানাই,

১) এই দলবদ্ধ সশস্ত্র আক্রমণের ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করতে হবে।
২) বাগান মালিকসহ হামলাকারীদের প্রত্যেককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৩) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের উপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪) পুলিশ প্রশাসনের অপদার্থতার দায়ে চোপড়া থানার আইসি’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫) এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার প্রচেষ্টাকে প্রশাসনিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।

খণ্ড-30
সংখ্যা-30