প্রতিবেদন
এই বজ্ররবে, নুতন পথের বার্তা কবে
aaeeee

কোভিড ১৯এর থাবায় ক্ষতবিক্ষত গোটা দুনিয়া বিপুল প্রাণহানি ও অর্থনীতির ধ্বংসাবশেষ নিয়ে নতুন আরেকটা বছরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। গত বর্ষশেষে ভারত দেখেছিল শাহিনবাগ – সিএএ’র বিরুদ্ধে জাগ্রত জনতার, বিশেষত সংখ্যালঘু মহিলাদের অসমসাহসী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী আন্দোলন। আর, এ বছর, প্রবল শীতের ভ্রুকুটিকে ফুৎকারে উড়িয়ে হাজার হাজার কৃষক অবরুদ্ধ করে দিয়েছে দেশের রাজধানী। কৃষক রমনীরাও সামিল ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’। আবালবৃদ্ধবনিতা,  কিশোর কিশোরী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পাশাপাশি ট্রাক্টরে চালিয়ে যাচ্ছে পড়াশুনা, যা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেরও নজর কেড়েছে। দুর্ভেদ্য লোহার ব্যারিকেড, কনক্রিট বোল্ডার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো রাজধানী দখলের অদম্য অপ্রতিরোধ্য জেদের সামনে। সমকালীন দুনিয়া এতো বড় কৃষক আন্দোলন দেখেনি এ বিশ্বে, যা ব্যাপ্তিতে দিগন্তপ্রসারী, গভীরতায় অতলস্পর্শী, তাৎপর্যে তুলনাহীন, হিম্মত ও প্রত্যয়ে আসমান ছুঁয়েছে।আর চরম দুর্বিনীত, নৃশংস রাষ্ট্রনায়কেরা হিমশীতল অবিসংবেদী মনোভাব নিয়ে তা উপেক্ষা করার মনোভাব নিয়ে চলেছে।

শুধু আন্দোলনের প্রশ্নেই নয়, অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একই উপেক্ষা, অবহেলা, অর্দ্ধসত্য ও মিথ্যাভাষণ। বহু ঢাক-ঢোল পেটানো স্টিমুল্যাস প্যাকেজে জাতীয় আয় বা জিডিপি’র মাত্র ২ শতাংশ বিনিয়োগ করে তাকে ২০ শতাংশ হিসাবে প্রচার করা হচ্ছে। মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিতে গতি আনতে দিন কয়েক আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রাঘব বোয়ালেরা ফের জানালেন, আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি দিতে চাহিদা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যয় বাড়াতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিবেশ খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে, সাধারণ মানুষের জন্য আবাস প্রকল্পের বিস্তার ঘটাতে। ৪ ডিসেম্বর শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঋণ কমিটির বৈঠকের যে কার্যবিবরণী প্রকাশ পায়, তাতেও সরকারকে চাহিদা বাড়ানোর জন্য জোরালো সওয়াল করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ফিরিয়ে আনতে হবে কাজের সুযোগ, তৈরি করতে হবে আয় বাড়ানোর রাস্তা। কিছুদিন আগে দেশের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা বলেন, “২০২০-২১’এ ভারতের চলতি বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট উদ্বৃত্ত হওয়ার সম্ভানা আছে”। তিনি আরও বলেন, “এপ্রিল-জুন ২০২০’র ত্রৈমাসিকে আমাদের কোষাগারে ১৯.৮ বিলিয়ান মার্কিন ডলার গচ্ছিত রয়েছে। পরের ত্রৈমাসিকগুলোতে তেমন ভাল ফলাফল না পাওয়া গেলেও আমাদের হেফাজতে থাকবে চলতি অ্যাকাউন্টের উদ্বৃত্ত”। আসলে, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা এই প্রবণতাকে ‘কম উত্তপ্ত’ (আন্ডার হিটিং) হয়ে ওঠার সঙ্গে তুলনা করেছেন, যার অর্থ, চাহিদায় ধ্বস নেমেছে, আর মোদীর বহু বিজ্ঞাপিত স্টিমুলাস প্যাকেজ এখনো পর্যন্ত চাহিদার মরা গাঙে বান আনতে পারলোনা। আর, বিরোধাভাস এটাই, এই কম উত্তপ্ত আর্থিক পরিমন্ডলেও খুচরো মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬১ শতাংশ, খাদ্য সামগ্রির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ১১.০৭ শতাংশ, যা গরিব জনসংখ্যার উপর বিরাট নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত ভোগব্যয় ও বিনিয়োগ আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দু’টি বৃহত্তম ইঞ্জিন। এই দুটো ক্ষেত্রের দিকে চোখ ফেরানো যাক। ২০২০’র প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যক্তিগত ভোগব্যয়, যা দেশের জিডিপির ৫৯ শতাংশ অবদান রাখে, হ্রাস প্রাপ্ত হয় ২৭ শতাংশে। আর, ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ৪৭ শতাংশ কমে যায়। ভারতের আমদানি দারুণভাবে সংকুচিত হওয়ায়  নিট রপ্তানি ইতিবাচক হয়। ওই ত্রৈমাসিকে সরকারের খরচ বৃদ্ধি পায় মাত্র ১৬ শতাংশ, আর্থিক বৃদ্ধির উল্লিখিত দু’টি ইঞ্জিনের সংকোচন যা ঐ সামান্য সরকারি খরচ পূরণ করতে ব্যর্থ। কৃষি বাদে অর্থনীতির সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোই নিদারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। শ্রম নিবিড় ক্ষেত্র, যেমন, নির্মাণ, রিয়াল এস্টেট, খুচরো ব্যবসা, পরিবহন ও ম্যানুফাকচারিং মারাত্মকভাবে সংকুচিত হয়ে পড়ে।

এ তথ্য আজ সুবিদিত যে, ভারতের অর্থনীতি এ বছরে গভীর খাদের কিনারে চলে আসে, নজিরবিহীনভাবে মুখ থুবড়ে ২৩.৯ শতাংশে সংকুচিত হওয়ার পর তা প্রবেশ করে মন্দায়। আরও তিনটি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত অর্থনীতির এই সংকোচন অবশ্যম্ভাবী, আর গভীর মন্দার কবল থেকে পার পাওয়ার কোন ইঙ্গিতই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। স্বাধীনোত্তর ভারত এখন পর্যন্ত তিনবার পড়েছে মন্দার কবলে – ১৯৫৮, ১৯৬৬, ১৯৮০। বর্তমানে প্রায় সকলেই এ প্রশ্নে একমত যে ভারতের অর্থনীতি অনিবার্যভাবে এগিয়ে চলেছে সারা বছরভোর সংকোচনের দিকে। বিশিষ্ট অর্থশাস্ত্রী, রেটিং সংস্থা ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অনুমানকে সংশোধিত করে দেখাচ্ছে যে এই অর্থবছরে ভারতের জিডিপি সংকুচিত হবে ৯ থেকে ১৮ শতাংশ হারে। রেটিং সংস্থা ক্রিসিল দেখিয়েছে, মধ্যবর্তী পর্বে ভারত তার প্রকৃত জিডিপি’র ১৩ শতাংশ খোয়াবে যা আর কোনোদিন পুনরুদ্ধার করা যাবেনা। এর অর্থ হলো, ভারতের অর্থনীতি থেকে উবে যাবে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা, চিরদিনের জন্য। এদিকে সরকার ঘোষিত আত্মনির্ভর প্যাকেজে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ কোটি টাকা।

অর্থশাস্ত্রী কৌশিক বসুর মতে, যে ৯০টি দেশ ত্রৈমাসিক পর্যায়ে আর্থিক বৃদ্ধির হারকে পরিমাপ করে, তার মধ্যে একমাত্র পেরুর অর্থনীতি ভারতের থেকে নীচে – যার সংকোচন ঘটেছে ৩০.২ শতাংশ হারে! ভারতের অর্থনীতি যে ক্রমাগত নীচের দিকে গড়িয়ে পড়ছে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে তিনি চিহ্নিত করেছেন বিদ্বেষপূর্ণ রাজনৈতিক পরিমন্ডল ও অসহিষ্ণুতাকে, যা আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করেছে, বিদ্যমান সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতাকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে। সংখ্যালঘুদের প্রতি বিদ্বেষ ও মূলধারা থেকে তাঁদের ক্রমশঃ বহিষ্কার, ভিন্ন মতাবলম্বী ও বিরোধিতাকে দমন করার যে শাসনশৈলী চলছে তা সমাজ রাজনীতি ও অর্থনীতিকেও রীতিমতো প্রভাবিত করবে বলে জানিয়েছেন। সামনের বছর ভারতের অর্থনীতি ফের মুখ তুলে দাঁড়াবে, আইএমএফ-এর এই মূল্যায়ণের সাথে তিনি একমত নন। বরং তিনি মনে করেন, এই অর্থ বছরে অর্থনীতি আরও সংকুচিত হবে ১২ শতাংশ হারে, আর তা ঠেকাতে অবিলম্বে বড়সড় ফিসকাল স্টিমুলাসের প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি জোর দেন। তার জন্য তিনি এমনকি সাত থেকে আট শতাংশ রাজস্ব ঘাটতির পক্ষেও সওয়াল করেছেন। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ভারতই একমাত্র দেশ যে স্টিমুলাস প্যাকেজে নামমাত্র অর্থ বরাদ্দ করেছে।

সরকারী ভাষ্যকারেরা ক্ষমতার অলিন্দ্য থেকে ঘোষণা করছেন যে দেশের অর্থনীতি নাকি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, কোভিড উত্তর দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে যে আর্থিক ‘পুনরুজ্জীবন’ ঘটছে তার বিরাট মাত্রায় বৈষম্যকেন্দ্রীক। শ্রম ও পুঁজির সাপেক্ষে তা উৎকটভাবে ঢলে পড়েছে পুঁজির দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিগত ত্রৈমাসিকে কর্পোরেটদের মুনাফা বেড়েছে সে দেশের জিডিপির চার শতাংশ হারে, অবিশ্বাস্য গতিতে। ভারতে, গত ত্রৈমাসিকে ২৫টি নথিভুক্ত কোম্পানির নিট মুনাফা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আর এই বৃদ্ধি হচ্ছে রাজস্ব সংকোচনের বিনিময়ে, কর্পোরেটরা কর্মীদের মাথা পিছু খরচ কমাতে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বেতন, মজুরি সংকোচন করছে, বঞ্চিত করছে বিধিবদ্ধ ক্ষতিপূরণ থেকে। ৬০০টি নথিভুক্ত কোম্পানী গত ১০টি ত্রৈমাসিকে কর্মী স্বার্থে সবচেয়ে কম খরচ করেছে। নথিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফা ২৫ শতাংশ বাড়া আর বিপরীতে জিডিপির ৭.৫ শতাংশ সংকোচন এটাই দেখায় অনথিভুক্ত ছোট মাঝারি কোম্পানিগুলোর মুনাফায় টান পড়ছে, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের মজুরি ও কর্মসংস্থানের উপর। সরকারি নীতিসমূহ এই কর্পোরেটদের একতরফা মুনাফা বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছে। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেওয়া যাক। মোদী সরকার কর্পোরেটদের তোফা দিয়েছে ১,৪৫,০০০ কোটি টাকা – কর ছাড় বাবদ। সেই আর্থিক ছাড় কিন্তু নতুন বিনিয়োগে প্রতিফলিত হলো না। তা নিজ নিজ মূলধন বাড়াতেই ওরা কাজে লাগিয়েছে। সেই টাকা গরিবদের সরাসরি ব্যাঙ্কে বা নিখরচায় রেশন বাবদ বরাদ্দ করা যেতো। আর সেই টাকা খরচ করলে আভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ার পথ প্রশস্থ হতো।

একমাত্র কৃষি ক্ষেত্রটিতে দেখা যাচ্ছে রুপালি রেখা। ২০২০ সালে বিরাট পরিমাণে ১৪৮ মিলিয়ন টন রবি শস্য এবং আনুমানিক (২০২০) ১৪৪ মিলিয়ন টন খারিফ শস্য আমাদের শস্য ভাণ্ডারে গচ্ছিত থাকা সত্ত্বেও অগণন দেশবাসী অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত ক্রমেই নেমে যাচ্ছে একেবারে নীচের সারিতে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এফএমসিজি’র চাহিদা বাড়লেও গ্রামাঞ্চলে মজুরি বৃদ্ধি থমকে আছে, যা অচিরেই চাহিদাকে সংকুচিত করবে। অর্থনীতির সামগ্রিক ছবি খুবই বিষন্ন। কারণ, কর্মসংস্থান ও আয়, যে দু’টো গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ডের উপর আর্থিক পুনরুদ্ধার নির্ভর করছে, তার অবস্থা মোটেই ভাল নয়।

সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা সিএমআইই জানাচ্ছে, বর্তমানে কর্মহীনতার  হার ৬.৬৮ শতাংশ। যে ১০০ জন কাজ পাচ্ছেন, তার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা মাত্র ১১, আর ১১ জন কাজ হারালে তার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৪ জন। সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে ২০২০’র মধ্যে এক কোটি দশ লক্ষ থেকে এক কোটি বিশ লক্ষ তরুণ শ্রম বাজার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন।

সিএমআইই’র সিইও মহেশ ভ্যাস দেখিয়েছেন, ভারতে মোট ৩.৫ কোটি প্যান্ডেমিকের আগে থেকেই কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন। অতিমারীর পর আরও ২.১ কোটি বেতনভুক কর্মী কাজ হারিয়েছেন, যা আর ফিরে আসবেনা। শহরাঞ্চলে কাজের সুযোগ ক্রমে শুকিয়ে যাওয়ায় ‘ভিড়’ বেড়েছে গ্রামাঞ্চলের কাজে, আর এই ছদ্মবেকারত্ব ভারতের প্রকৃত কর্মহীনতার ভয়াবহ পরিস্থিতিকে ঠিকমতো প্রতিফলিত করছে না।

ddddd

নতুন বছর কি বার্তা বহন করছে?

রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্ধ দম্ভে মশগুল দেশের অধুনা রাষ্ট্র নায়কের রাষ্ট্রীয় কল্পনায় লক্ষ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের স্থান যে নেই তা প্রমাণিত হলো অপরিকল্পিত নির্মম লকডাউন ঘোষণার সময়ে। দেশের খেটে খাওয়া লক্ষ কোটি সম্পদ সৃষ্টিকারী শ্রমিক কৃষককে মোদী সরকার কোনোদিনই হিসাবের মধ্যে রাখল না। অতিমারীর সুযোগে, কর্পোরেট ছাড়া আর কারুর পরামর্শের থোড়াই কেয়ার ও সংসদীয় গণতন্ত্রের নির্দয় প্রহসন করে বুক ফুলিয়ে সেদিন পাশ করানো হলো তিন তিনটি চরম কৃষি-বিরোধী, কৃষকস্বার্থ বিরোধী বিল, যা অচিরেই পরিণত হলো আইনে কাঠপুতুল রাষ্ট্রপতির অতি তৎপরতায়।

কিন্তু, মোদী সেদিন চিনতে পারেনি আসল ভারতবর্ষকে। ভারতের শ্রমিক কৃষককে। লেলিহান অগ্নিশিখার মতো পঞ্চনদের তীরে প্রজ্জ্বলিত সেই মশাল আজ গোটা ভারতব্যাপী প্রবল প্লাবনে পরিণত। সর্বস্তরের মানুষ আজ আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে। ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রগাঢ় উৎসবমুখর সারা দেশবাসী। যেন সকলে নেমেছে নতুন এক ভারত নির্মাণে।

এই নবস্পন্দন, এই উদ্ভাসনই লিখবে নতুন বছরে নতুন ভারতের দিনলিপি।

- অতনু চক্রবর্তী  

খণ্ড-27
সংখ্যা-47