খবরা-খবর
বিষ্ণুপুর পৌরসভার সাফাইকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সভা
ddrare

এআইসিসিটিইউ অনুমোদিত ‘বিষ্ণুপুর পৌরসভা সংগ্রামী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর পক্ষ থেকে শতাধিক মজদুর বিষ্ণুপুর কবিরাজপাড়া থেকে মিছিল করে এসে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে একটি সভা অনুষ্ঠিত করে গত ৬ অক্টোবর। এই সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের নেতা বিল্টু ক্ষেত্রপাল, ফারহান হোসেন খান, দিলবার খান এবং এআইসিসিটিইউ জেলা সভাপতি বাবলু ব্যানার্জি। সভা থেকে প্রশাসনের কাছে দাবি রাখা হয় অস্থায়ী মজদুরদের স্থায়ীকরণ করতে হবে। সরকারী নিয়ম মেনে অবিলম্বে সবার পিএফপ চালু করতে হবে। অবসর গ্রহণের পর সকল মজদুরকে এককালীন ৫ লাখ টাকা ও মাসিক পেনশন দিতে হবে। সরকারী নির্দেশ মোতাবেক সকল কর্মচারিদের মাসে ১৮,০০০ টাকা বেতন এবং ৫০০০ টাকা পূজা বোনাস দিতে হবে। জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, দ্রব্যাদি ও বীমা চালু করতে হবে। পুজোর আগে বকেয়া এক মাসের মজুরি এবং বোনাসের অর্থ না মেটালে আরো তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেওয়া হয় সংগঠনের তরফ থেকে।

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নতুন কৃষি আইন চালু করে ধান কেনা বন্ধ করে রেশন তুলে দিতে চাইছে। এর ফলে গ্রামের কৃষকদের সাথে শহরের মেহনতি মানুষ বিপদে পড়বে, কারণ এই অসংখ্য মেহনতি মানুষ বেঁচে আছে রেশনের চাল-গমের উপর। শুধু তাই নয়। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন থেকে খাদ্যশস্যগুলি বাদ দেওয়ার ফলে মজুতদারী বেড়ে যাবে এবং চাল-ডাল-তেল-নুন-আলুর দাম বেড়ে গিয়ে আকালের সৃষ্টি হবে। তাই চাষিদের সাথে মজদুরদেরও এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। তৃণমূল যদি সত্যিই এই আইনের বিরুদ্ধে হয় তবে অবিলম্বে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডেকে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাক।

খণ্ড-27
সংখ্যা-36