রন্ধন কর্মী ইউনিয়নের দেগঙ্গা ব্লক সম্মেলন
ulinary-workers-union

শাসক দলের হামলা, হয়রানি মোকাবিলা করেই সংগঠিত হচ্ছেন দেগঙ্গা ব্লকের রন্ধন কর্মীরা। ২০১৬ সাল থেকেই দেগঙ্গা ব্লকের কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রামী রন্ধনকর্মী ইউনিয়নের পতাকাতলে সমাবেশিত হতে শুরু করেন। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে গ্রামাঞ্চলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করে। যার ফল, বিদ্যালয়গুলিতে যুক্ত পুরোনো রন্ধনকর্মীদের তাড়িয়ে নতুন কর্মী নিয়োগের চেষ্টা। ইউনিয়নের কর্মীরা এক দীর্ঘ লড়াইয়ে তাকে প্রতিহত করেন। একইভাবে, ইউনিয়নের সভায় হামলা, বিডিও দফতরে ডেপুটেশনে হামলা — প্রভৃতি মোকাবিলা করেই জেলা, রাজ্য প্রতিটি কর্মসূচিতে কর্মীরা সামিল হন।

উত্তর ২৪ পরগণা জেলা জুড়ে ব্লক সম্মেলনগুলির অঙ্গ হিসাবে গত ১৯ মার্চ ২০২৩ দেগঙ্গা ব্লকের কর্মীরা মিলিত হলেন ব্লক সম্মেলনে। প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে অগ্রণী কর্মীরা বারাসাত বিবেক সংঘ হলে মিলিত হলেন।

সম্মেলনকে সম্বোধন করে এআইসিসিটিইউ জেলা সম্পাদক রন্ধনকর্মীদের আন্দোলনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সারা দেশেই শ্রমজীবী মানুষের বেঁচে থাকার উপর আক্রমণ নামিয়েছে। গরিবের শিক্ষাও কেড়ে নিতে চাইছে। আপনাদের লড়াই মজুরি, স্বীকৃতি, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার সাথে শিক্ষা বাঁচাতেও আন্দোলন করতে হবে।” ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদিকা জয়শ্রী দাস বলেন, “আমরা আজ যেটুকু সাফল্য পেয়েছি, সবই সংগঠনের জোরে। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে হবে।” আইসা’র রাজ্য নেতা স্বর্ণেন্দু মিত্র সংহতি জানিয়ে বলেন, “আমরা শিক্ষা বাঁচাতে যে লড়াই শুরু করেছি, আপনাদের লড়াইও সেই লক্ষ্যেই। আগামীদিনে ছাত্ররা মিলিত ভাবেই লড়াই গড়ে তুলবে।”

এআইসিসিটিইউ জেলা নেতা সুজিত ঘোষের সভাপতিত্বে সম্মেলনে কর্মীরা যেমন সমস্যার কথা বলেন, তেমনি সাফল্য ও অঙ্গীকারের কোথাও বলেন।

সম্মেলন থেকে ১৫ সদস্যের ব্লক কমিটি গঠন হয়। সভাপতি ও সম্পাদিকা নির্বাচিত হন যথাক্রমে সুজিত ঘোষ ও লিলুফা বিবি।

ব্লকের সমস্ত স্কুলে সংগঠন গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে সম্মেলন সমাপ্ত হয়।

খণ্ড-30
সংখ্যা-7