নতুন উদ‍্যমে শুরু প্রতিবিধান পত্রিকা : পুনঃপ্রকাশ উপলক্ষে আলোচনাসভা
pratibidhan-magazine

আড়াই বছর বিরতির পর নতুনভাবে প্রকাশিত হল নারী আন্দোলনের মুখপত্র প্রতিবিধান পত্রিকা। ১৫ মার্চ কলকাতার বিএমপিইএইউ সভাঘরে আয়োজন করা হয়েছিল “নারী আন্দোলনে পত্রিকার ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনাসভা। পত্রিকার অন‍্যতম সম্পাদক চন্দ্রাস্মিতা চৌধুরি সকলকে স্বাগত জানিয়ে পত্রিকা প্রকাশে দীর্ঘ ছেদ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে পুনরায় প্রকাশনা সংগঠিত করার প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে জানিয়ে আলোচনাসভা পরিচালনার জন‍্য সম্প্রীতি মুখার্জী ও মধুরিমা বক্সীকে ডেকে নেন।

শুরুতে বাবুনি মজুমদারের গাওয়া সলিল চৌধুরির “অধিকার কে কাকে দেয়? পৃথিবীর ইতিহাসে কবে কোন অধিকার বিনা সংগ্রামে শুধু চেয়ে পাওয়া যায়? অধিকার কেড়ে নিতে হয়, লড়ে নিতে হয়। মুক্তির অধিকার, মানুষের মতো করে বাঁচবার অধিকার। শিক্ষার অধিকার। হক কথা সোচ্চারে বলবার অধিকার। শান্তির অধিকার। শিশু শিশু কুঁড়িদের ফুটবার অধিকার”। গানটি আলোচনাসভার সুর বেঁধে দেয়।

সম্প্রীতি মুখার্জী বর্তমান সময়ে তীব্র ফ‍্যাসিস্ট হামলার পরিস্থিতি ও লিঙ্গযৌন রাজনীতির প্রেক্ষিতে পত্রিকার উপদেষ্টামণ্ডলীর উপস্থিত সদস‍্যদের পরিচিতি জানান এবং তাঁদের হাতে সদ‍্য প্রকাশিত পত্রিকা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উন্মোচন সম্পন্ন হয়। মধুরিমা বক্সী একে একে বক্তাদের ডেকে নেন।

১৯৮০ দশক থেকে দীর্ঘ পথ চলা প্রতিবিধান পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক চৈতালি সেন পুরনো অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং নতুন তারুণ‍্যপূর্ণ সম্পাদনা ও উপদেষ্টা মণ্ডলির প্রতি বিশেষ প্রত‍্যাশা ব‍্যক্ত করেন। নতুন উপাদান, নতুন চিন্তাচেতনা নতুন সময়ের আন্দোলনের অভিব‍্যক্তি হয়ে উঠবে। স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, তৎকালীন সিপিআই(এমএল) জেনেরাল সেক্রেটারি বিনোদ মিশ্র এই পত্রিকার নামকরণ করেছিলেন এবং মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, সুকুমারী ভট্টাচার্য, মধুছন্দা কার্লেকার, নবনীতা দেবসেনদের মতো ব‍্যক্তিত্বরা পত্রিকার উপদেষ্টামণ্ডলী হিসেবে বরাবর ছিলেন, এবং তাঁরা নিছক দূর থেকে পরামর্শ দেওয়া নয়, বহুরকমভাবে পত্রিকা ও আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। নতুন সম্পাদনা ও উপদেষ্টা মণ্ডলীও আন্দোলন ও চিন্তন জগতে সক্রিয় ভূমিকায় থাকা তরুণ প্রজন্ম, তাঁদের নেতৃত্বে আমরা কাজ করব।

উপদেষ্টামণ্ডলীর অন‍্যতম জিনত রেহানা ইসলাম। ইতিহাস শিক্ষিকা। মুর্শিদাবাদ জেলায় তিনি গড়ে তুলেছেন পরিত্যক্ত প্রতারিত সাধারণ মহিলাদের এক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী আন্দোলন। জিনাত মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছেন এই আলোচনাসভায় যোগ দিতে। তিনি বলেন, পত্রিকার যে ইতিহাস আমরা শুনলাম এই লড়াই একটা চলমান প্রক্রিয়া। সাময়িক ছেদ আসে। কিন্তু আমরা আবার ঝাঁপিয়ে পড়ি। জিনাত তাঁর গ্রামজীবনের আন্দোলন সংগঠনের কাজে কাছ থেকে দেখা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। কিভাবে চরম প্রান্তিক অবস্থানে থাকা মহিলা রুখে দাঁড়ান, “স্বামীর কাছে আর মেয়ের দুধের পয়সা চাইব না, নিজে কাজ করে চলব”, কীভাবে একজন নিরক্ষর দিনমজুর মহিলা আর পিএইচডি ছাত্রীর লড়াই মিলে যেতে পারে তা থিওরির বাইরে বাস্তব পরিসরে ভাবার কথা বলেন জিনাত। তিনি বলেন, আইনে থাক বা না থাক সাধারণত মুসলিম পুরুষ মনে করে যে বহুবিবাহ তার অধিকার। আদালতে লইয়াররা অভিযোগকারী মেয়েদেরকেই উল্টে দোষারোপ করে, মেয়েদের অসহায়ত্বকেই দোষ বা অপরাধ হিসেবে দেগে দেয়। অফিসে আদালতে যে পরিভাষা ব‍্যবহৃত হয় তা মেয়েদের দমিয়ে দেয়। তবু মেয়েরা রুখে দাঁড়ায়। আবার দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিয়ের পর মেয়েদের আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রমের কাজ ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। ঘরে ২৪ ঘন্টা থাকা মেয়েদের লড়াই পর্যন্ত পৌঁছতে হবে নারী আন্দোলনকে। জিনাত সমাজে বিদ‍্যমান পাওয়ার স্ট্রাকচার বা ক্ষমতাতন্ত্রের উল্লেখ করে বলেন যে ঊর্ধতন ক্ষমতার অবস্থানে থাকা মহিলা অধস্তন বা সাধারণ মহিলাদের ওপর বিভিন্ন চোটপাট করে। কিন্তু এগুলো নারীর বিরুদ্ধে নারীর বিষয় নয়, এটা আসলে বিদ‍্যমান ক্ষমতাতন্ত্রের প্রকাশ। ফলত “মেয়েরাই তো মেয়েদের শত্রু” – এক কৌশলি প্রচার। শাহিনবাগ আন্দোলন দেখিয়েছে, মেয়েরা কিচেন থেকে বেরিয়ে এসে পার্লামেন্টকে চ‍্যালেঞ্জ করছে। প্রান্তিক ও সুবিধাপ্রাপ্ত অগ্রণী – এই দুইয়ের মধ‍্যে ব্রিজ তৈরি করতে হবে। অনেক পথ পেরিয়ে, অনেকটা এগিয়ে প্রতিবিধান পত্রিকা এই সেঁতু নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখুক।

মহাশ্বেতা সমাজদার ‘পেশাপ্রবেশ’ ও ‘ভ্রমণ’ পত্রিকা সম্পাদনার অন‍্যতম প্রধান, প্রতিবিধান পত্রিকার উপদেষ্টামণ্ডলীর আরেকজন সদস‍্য, এনআরসি-সিএএ বিরোধী আলোড়নের সময় থেকে গণ আন্দোলনে সক্রিয়। তিনি বলেন ‘উচ্চবর্ণ’ মধ‍্যবিত্ত মানুষের মধ‍্যে এই বোধ খুব দুর্বল যে মেয়েরা সমাজে দমন ও অধীনতার মধ‍্যে আছে। ফেমিনিজম অর্থাৎ নারীবাদকে ‘টক্সিক ম‍্যাসকুলিনিটি’ অর্থাৎ পৌরুষের উগ্র আস্ফালনের মতোই মহিলাদের এক পাল্টা আস্ফালনের রূপ বলে মনে করে। আসলে নারীবাদ তো সমতা, সহযোগ ও সংহতির লড়াই। সমাজের এই সুবিধাপ্রাপ্ত অগ্রণী অংশের নারীদের মধ‍্যে বঞ্চনা ও পরাধীনতা সম্পর্কে সচেতনতা সবল হলে প্রান্তিকের লড়াইয়ের সাথে তাঁরা সংযুক্ত হতে পারে। মহাশ্বেতা পত্রিকা বিষয়ক কিছু পরামর্শ দিয়ে বলেন, খুব ছোট ছোট তথ‍্যমূলক কথা দিয়ে পাতার ছোট ছোট ফাঁকা জায়গাগুলো সাজিয়ে দিতে হবে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, জানেন কী, অধিকাংশ ক‍্যান্সার চিহ্নিত শিশুই ছেলে, কারণ আসলে কন‍্যাশিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হার পুত্রশিশুদের চেয়ে অনেক কম। অথবা, বিভিন্ন সরকারি ফর্ম ফিলাপে সেক্স লেখার সময় আগে ‘এম’ তারপর ‘এফ’ থাকে কেন? অ‍্যালফ‍্যাবেটিকালি তো আগে ‘এফ’ থাকার কথা। এটা কি পুরুষের অগ্রাধিকার ঘোষণা! এরকম ছোট ছোট প্রশ্ন ও তথ‍্য ছুঁড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন মহাশ্বেতা।

দেবলীনা একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সম্প্রতি সমপ্রেম বিষয়ে তাঁর একটি স্বল্প দৈর্ঘ‍্যের চলচ্চিত্র ফ‍্যাসিস্ট হামলার শিকার হয় উড়িষ‍্যায় চলা এক প্রদর্শনীতে। দেবলীনা প্রতিবিধান পত্রিকার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস‍্য। তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী এখন খারাপ সময়ের মধ‍্যে দিয়ে যাচ্ছে। পরক্ষণেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, কখনও কী ভালো সময় ছিল? দেবলীনার প্রশ্নকে জোরালো করে সভাঘর থেকে স্বতস্ফূর্ত ভেসে আসে, “বিশেষত মেয়েদের জন‍্য?” দেবলীনা বলেন, লড়াইটাও তাই বরাবর আছে, থাকবে। ইরাণের ঘটনা সারা পৃথিবীতে আলোড়ন ফেলল। কত মেয়ে চুল কেটে ফেলল, মরল, কিন্তু ছাড়ল না। ফ‍্যাসিস্টরা যতই বাড়ুক, আমরাও কম যাই না। দেবলীনা বলেন যে তাঁর বানানো ছবির একটা স্ক্রিনিং বন্ধ করে দিলেও উল্টে বহু বহু জায়গায় আরও ব‍্যাপকভাবে তা ছড়িয়ে পড়ল, “আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না”।

শতাব্দী দাশ শিক্ষিকা, উপদেষ্টামণ্ডলীর অন‍্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে নারীবাদী অবস্থানে তাঁর লেখালেখি বিশিষ্ট পরিচয়ে সামনে এসেছে। তিনি সরাসরি বলেন, ব‍্যক্তি জীবনে বিভিন্ন ধরনের পিতৃতন্ত্র দেখার ‘সৌভাগ‍্য’ তাঁর হয়েছে। শৈশবে গোঁড়া ব্রাহ্মণ‍্য পরিবারের পিতৃতন্ত্র বা পরবর্তীতে বামপন্থী ঘরানার পিতৃতন্ত্র। বিভিন্ন শ্রেণী ও কাস্টের নারী আন্দোলনকে একত্রিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন শতাব্দী। বলেন, ইনক্লুসিভ হতে হবে। বিভন্ন স্তরের অভিজ্ঞতা ধারণ করতে হবে পত্রিকাকে। আমাদের পরিসরে পুরুষরাও আছেন। শুধু মেয়েদের মধ‍্যেই নয়, পুরুষদের মধ‍্যে সচেতনতা তৈরি বিশেষ দরকার। আর সেটা কেবল সংগঠনের পরিধির মধ‍্যেই না, বিস্তৃত পরিসরে। এখন ফ‍্যাসিস্ট প্রচার ও প্রসার তীব্র চলছে। মুসলিম ও দলিত মেয়েরা ধর্ষিতা হলে অপরাধিরা কোনও না কোনোভাবে ছাড়া পেয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় মদতে দেহ জ্বালিয়ে প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হয়। খারাপ সময় সর্বদাই ছিল, কিন্তু এমন প্রকাশ‍্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপে বোধহয় কখনই প্রত‍্যক্ষ করি নি আমরা। লিখে যাওয়া ও বলে যাওয়াটাও আন্দোলনের অঙ্গ। এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির রাজ‍্য সম্পাদক ইন্দ্রানী দত্ত বলেন, ছোট বেলায় সমাজ জীবনেই প্রতিবাদী বলে হয়তো আমরা চিহ্নিত ছিলাম, সেখান থেকেই রাজনৈতিক প্রতিবাদে এসেছি আমরা। প্রতিবিধান পত্রিকার আদি সম্পাদক প্রয়াত গীতা দাসের উদাহরণ টেনে ইন্দ্রানী বলেন, বস্তিজীবনের প্রান্তিক নারীদের নিয়ে লড়াই ও লেখালেখি – দুদিককে মিলিয়েছিলেন। সাবিত্রীবাই ফুলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন একই লড়াইয়ে। মেয়েরা লড়বে ও পড়বে। প্রতিবিধান পত্রিকাটি যেন বিশেষ কোনও সংগঠনের না হয়ে নারী আন্দোলনের মুখপত্র হয়ে বরাবরের মতো চলতে পারে সেই আকাঙ্খা ব‍্যক্ত করেন ইন্দ্রানী, সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

পূর্বতন সম্পাদকমণ্ডলীর অন‍্যতম সদস‍্য মলীনা বক্সী নতুনদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন যে শুরুতে মহিলাদের বিষয়ে জানাবোঝার পত্রিকা হিসেবেই প্রতিবিধান প্রকাশিত হত। ১৯৭৯ সালে মহারাষ্ট্রে পুলিশ লকাপে আদিবাসী মেয়েকে ধর্ষণের “মথুরা রেপ কেস” তথা ধর্ষিতাকেই দোষারোপ করে সুপ্রিম কোর্টের রায় আলোড়ন ফেলেছিল। পরবর্তীতে কলকাতায় গৃহবধু দেবযানী বণিকের হত‍্যা গার্হস্থ‍্য হিংসার দিকটি বড়ো ভাবে সামনে আনে। নারী আন্দোলনের বিভিন্ন দিক দ্রুত বিকশিত ও প্রসারিত হওয়ার পরিস্থিতিতে প্রতিবাধান নারী আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে সামনে আসে। মলিনা স্মরণ করিয়ে দেন যে স্নিগ্ধা বসুর নামে পত্রিকা রেজিস্ট্রেশন আছে। তিনি বলেন, চার দশকের দীর্ঘ পথ চলায় কখনও কখনও সাময়িক ছেদ এসেছে, কিন্তু নতুনরা এগিয়ে এসে নতুন আশা ও ভরসা জাগিয়ে নতুন উদ‍্যমে আবার এগিয়ে গেছে।

আমন্ত্রিত বক্তাদের বক্তব‍্যের পর্ব শেষ করে সভাঘরে উপস্থিত সকলের কাছে মতামত আহ্বান করা হয়। প্রবীণ সাথী মৈত্রী বলেন, অনেক খেটে খাওয়া মেয়েরা সংকোচ বশত নিজেদের কথা বলে উঠতে পারেন না। তাঁদের কথা তুলে ধরার জন‍্য কিছু জায়গা পত্রিকাতে রাখা দরকার, যাতে সকলে বুঝতে পারে ‘দিদিদের নয়, এটা আমাদের জিনিস’। আইপোয়ার রাজ‍্য নেত্রী অর্চনা ঘটক বলেন, একসময় ট্রেনে প্রতিবিধান হকিং করা হত। এর মাধ‍্যমে যোগসূত্র তৈরি হয়। সবরকমভাবে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা সকলকে করতে হবে। পত্রিকাকে সংগঠকের ভূমিকা নিতে হবে।

আলোচনাসভার পরিসমাপ্তি করেন অন‍্যতম প্রধান সম্পাদক মিতালি বিশ্বাস। প্রবীণ ও নবীনের এই সমাবেশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আলোচনায় আসা মূল কথাগুলি আরেকবার তুলে ধরেন। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন‍্যান‍্য সদস্যদের মধ‍্যে আছেন মেরুনা মুর্মু, শাশ্বতী ঘোষ, প্রতিভা সরকার, কল‍্যাণী ঠাকুর চাঁড়াল, অরুন্ধতী ঘোষ। মিতালি বলেন, পত্রিকায় বিভিন্ন দিক রাখার চেষ্টা হয়েছে। গৌরি লঙ্কেশের মতো জোরালো আঘাত হানতে হবে লেখায়। সভাঘরে উপস্থিত সম্পাদকমণ্ডলীর সমস্ত সদস‍্যদের সামনে ডেকে নেন মিতালি। সভায় রন্ধনকর্মী ইউনিয়নের লড়াকু নেত্রী জয়শ্রী দাস ও গ্রামীণ শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রী কাজল দত্ত সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মহিলা নেত্রীরা এসেছিলেন। ছাত্রী ও ছাত্র কর্মীরা, দেশব্রতী সম্পাদকমণ্ডলীর সদস‍্যরা এবং সিপিআই(এমএল) পলিটব‍্যুরো সদস‍্য কার্তিক পাল অংশগ্রহণ করেছিলেন। স্বল্প সময়ে নানা দিক থেকে অত‍্যন্ত জোরালো অভিঘাত রেখে প্রতিবিধান পুনঃপ্রকাশ অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

- মলয় তেওয়ারি

খণ্ড-30
সংখ্যা-6