প্রতিবেদন
জলবায়ু সংকট : আর একটা সম্মেলন, আর একটা তহবিল
Climate crisis

রাষ্ট্রপুঞ্জের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ২০২২ সালের ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর মিশরের শার্ম এল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত করল জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ২৭তম সম্মেলন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলন অভিহিত হয় কনফারেন্স অব পার্টিজ নামে এবং এবারের সম্মেলনটা ছিল কনফারেন্স অব পার্টিজ ২৭ (সিওপি ২৭)। সিওপি ২৭ এমন একটা সময় অনুষ্ঠিত হল যখন ২০২২ সালে পৃথিবীতে চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় যথেষ্ট মাত্রায় বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের বহু শহরে ভয়াবহ বন্যা ঘটল, ইউরোপে শতাব্দীর মধ্যে সবচয়ে বেশি তাপমাত্রার তাপপ্রবাহ বইল, আর এরমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার মোকাবিলায় সহমত হতে রাষ্ট্রগুলোর ব্যর্থতা প্রকট হল। সিওপি ২৭ অনুষ্ঠিত হল ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির পৃষ্ঠভূমিতে যা আন্তর্জাতিক আলোচনায় সাধারণ কিন্তু পৃথকীকৃত দায়বদ্ধতাকে পরিহার করেছিল (গ্ৰিনহাউস গ্যাসের ঐতিহাসিক নিঃসরণের ওপর ভিত্তি করে গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের ভারকে বণ্টন করা)। প্যারিস চুক্তিতে প্রবর্তিত স্বেচ্ছাপ্রণোদিত নিঃসরণ কর্মসূচির নয়া নীতির অর্থ হল সদস্য রাষ্ট্রগুলো স্বাধীনভাবে নিঃসরণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দেবে যেটা এর আগে ১৯৯৭ সালের কিয়োটো প্রটোকল থেকে আলাদা, যে প্রটোকল অনুসারে নিঃসরণের আইনি দায়বদ্ধতা ছিল। ২০১৫ সাল থেকে দেখা গেছে, বাধ্যতামূলক হ্রাস থেকে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হ্রাসে নীতির পরিবর্তন ঐতিহাসিকভাবে অধিক নিঃসরণকারীদের — শিল্পসমৃদ্ধ, উন্নত ও ধনী দেশগুলোকে — দায়বদ্ধতা থেকে ছাড় দেওয়ার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা যথেষ্ট কমজোরী হয়ে পড়েছে।

মিশরে সিওপি ২৭ : ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণের ইস্যু

সিওপি ২৭’এর শুরুতে সম্মেলনের মূল এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হল ‘ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণের’ ইস্যুটা — যা হল জলবায়ু পরিবর্তন প্রসূত ক্ষতির জন্য দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদান। একইভাবে অন্তর্ভুক্ত হল আরও একটা এজেন্ডা আর সেটা হল আগামী পাঁচ বছরে আবহাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনাবলীর বিপদ সম্পর্কে ‘এই গ্ৰহের সবাইকে’ সতর্ক করা। এই এজেন্ডাটা ঢোকান রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যানটনিও গুটারেস যিনি এর আগের বছরগুলোতে দরিদ্র দেশগুলোর উদ্বেগকে অবজ্ঞা করার জন্য ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ নেন। সমস্ত দেশের প্রতি সমবিচার করার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের প্রচেষ্টা যথেষ্ট মাত্রায় কালিমালিপ্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্ৰস্ত, বিশেষভাবে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিকূলতার মোকাবিলায় সর্বজনীন এজেন্ডার অনুপস্থিতির জন্য। ‘ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণের’ ইস্যু এবং আবহাওয়ার চরম ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনাবলী সম্পর্কে সতর্ক করার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত ইস্যুকে অন্তর্ভুক্ত করে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন তার বিশ্বাসযোগ্যতার হানিকে হ্রাস করতে চেয়েছে। এর আগের সম্মেলনগুলোতে উন্নত দেশগুলো যে ক্ষতি সাধন করেছে, সিওপি ২৭ কি তার প্রতিবিধান করতে পারবে? জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান বিপদগুলোর মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ কি নেওয়া হচ্ছে? জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে ঘটা চরম প্রাকৃতিক ঘটানাগুলোর ফলে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হচ্ছে সে কথা বিচার করলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা সঠিক পথে এগোচ্ছ কিনা তা বলা শক্ত। উদাহরণস্বরূপ, পাকিস্তানের বিশাল আকারের ভয়াবহ বন্যার কথা ধরা যাক। এই বন্যা হয়েছিল এ’বছরের জুন মাসে, তাতে মারা গিয়েছিল ১৭০০’র বেশি মানুষ যার মধ্যে প্রায় ৪০০ জন ছিল শিশু, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিল। ব্যাপক বিস্তৃত প্লাবনে মোট ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার এবং আমপান ভারত ও বাংলাদেশে যে ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছিল তার আনুমানিক পরিমাণ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যে পরিমাণ গ্ৰিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে, তার তুলনায় তাদের ভোগ করা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

ঐতিহাসিক চুক্তি না ঐতিহাসিক অন্যায়?

দু’সপ্তাহ ধরে চলা আলোচনায় কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্ৰগতি না হওয়ায় সিওপি ২৭ সমাপ্তির নির্দিষ্ট সময় পরও সম্প্রসারিত হয়। পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের সমাপ্তি ভাষণে সিওপি ২৭’এর সভাপতি সামেহ সৌকরি ‘ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ’ তহবিল নিয়ে দেশগুলো যে তাৎপর্যপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে তার উল্লেখ করেন। তহবিলের ধারণাটা এই উদ্দেশ্যেই গড়ে উঠেছে যে তা বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় বিধ্বস্ত দেশগুলোর সুরাহা করার পথ প্রশস্ত করবে। তবে তহবিলের এই ধারণাটা শুধু ‘বিশেষভাবে ক্ষতিপ্রবণ দেশগুলোর’ জন্য, ফলে, সুরাহা পাওয়ার যোগ্য দেশগুলোর সংখ্যা সীমিত হয়ে পড়ছে। সুযোগকে সীমিত করে তোলা হলেও নতুন এই তহবিল দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আশার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসবে, নাকি তাদের নিরাশ করবে? ইতিহাসের দিকে তাকালে মনে হয় এটা ভবিষ্যতে বিতর্কেরই একটা বিষয় হয়ে উঠবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, গবেষণা বলছে যে গ্ৰিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করে নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বছরে প্রয়োজন হবে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে, জলবায়ু তহবিলের অতীত রেকর্ড এবং তার সাথে দীর্ঘ সময়কালে ওঠা ইস্যুগুলোর দিকে তাকালে এই উপলব্ধি হয় যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রেরণের জন্য উন্নত দেশগুলোর ওপর দায়ভার চাপিয়ে নতুন তহবিল গঠনের সম্ভাবনা হতাশজনকই হবে। এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে উন্নত দেশগুলো জলবায়ু তহবিলে অর্থ প্রদানের দায়ভার বেসরকারি ক্ষেত্রগুলোর ওপর চাপানোর দিকে সংকেত দেওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের ন্যায় কিভাবে অর্জিত হবে তা যথেষ্ট কৌতূহলের সৃষ্টি করে। একইভাবে, সিওপি সম্মেলনের শেষ দিন ১৮ নভেম্বর খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা সমস্ত ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবকে গ্ৰহণ করতে পারেনি। এই প্রস্তাব উত্থাপন করে ভারত এবং তাতে সমর্থন জানায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অন্য কয়েকটি দেশ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটানাগুলোর প্রতিক্রিয়া বেড়ে চলায় সারা বিশ্বের কাছে এটা স্বীকার করে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ যে, তেল ও কয়লা-সহ জীবাশ্ম জ্বালানিগুলোর মধ্যে গ্ৰিনহাউস গ্যাস আছে এবং পরিমণ্ডলে গ্ৰিনহাউস গ্যাসের জোগানে সেগুলো অবদান রাখে। এর পরিবর্তে সিওপি ২৭’এর চূড়ান্ত রিপোর্টের খসড়ায় গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তির পুনরাবৃত্তি করা হয় — “অপ্রতিহত তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পকে ‘ধাপে-ধাপে কমিয়ে আনা’ এবং জীবাশ্ম জ্বালানির অফলদায়ক ভর্তুকিকে ‘ধাপে-ধাপে বাতিল করা’ ও অপচয় রোধ করার পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করতে হবে।” এটা আবার জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে গ্ৰিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মোকাবিলার দায়ভার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর ঘাড়ে পাচার করতে চায়। এটা দুঃখজনক যে, এবারের সিওপি ২৭-সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনের আলোচনার ধারাটা এই বোধকেই শক্তিশালী করছে যে, প্রশমন ও খাপ খাওয়ানোর বোঝাটা দরিদ্রদেরই বহন করতে হবে।

জলবায়ু তহবিলের রাজনীতি এবং তহবিলে অর্থ জোগান প্রক্রিয়ার বেসরকারিকরণের আমেরিকার প্রয়াস

২০০৯ সালে কোপেনহাগেনে সিওপি ১৫ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তার লক্ষ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। উন্নত যে দেশগুলো ঐতিহাসিকভাবে অনেক বেশি গ্ৰিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে এসেছে তাদেরই এই তহবিলে অর্থ জোগানোর কথা ছিল। তবে, জলবায়ু তহবিলের বর্তমান অবস্থা একেবারেই শোচনীয়, কেননা, যে দেশগুলো তহবিলে অর্থ জোগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা হয় অর্থ চেপে রেখেছে, আর না হয় দায়কে এড়িয়ে গেছে। উন্নত দেশগুলো একদিকে জলবায়ু তহবিলে অর্থ দেয়নি, অন্যদিকে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বেশি গ্ৰিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোর অন্যতম তারা এখন জলবায়ু তহবিলে অর্থ জোগান প্রক্রিয়ায় বেসরকারিকরণের কথা বলছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সিওপি ২৭ সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতায় জলবায়ু তহবিলে অর্থ জোগানোর ভার বিনিয়োগের মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রের ওপর ন্যস্ত করার অভিমত দিয়েছেন। এটা একেবারেই বিপর্যয়কর প্রস্তাব, কেননা এটা দেখাচ্ছে যে উন্নত দেশগুলো কোনো দায়ই ঘাড়ে নিতে চায় না এবং তারা বরাবর যা করে এসেছে সেটাই করতে চায়। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক চুক্তিতে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দায়বদ্ধ করা যাবেনা এবং জলবায়ুর জন্য অর্থ মুনাফা অর্জনের কোনও প্রকল্প নয়, তা অর্থ প্রদান, খাপ খাওয়ানো এবং লাঘব করার মাধ্যমে ঐতিহাসিক অন্যায়ের প্রতিবিধানের জন্য আবশ্যক। খরা, ঘুর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য চরম প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর শুধু বৃদ্ধিই ঘটেনি, সেগুলো ধ্বংসাত্মক হয়ে দেখা দিচ্ছে এবং পৃথিবীর জলবায়ুর পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী পরিঘটনা রূপে প্রতিপন্ন হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রাজিলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বোলসোনারো ও অন্যান্য যে নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতাকে অস্বীকার করে প্রকৃতিকে আরও শোষণের কর্মনীতি নিয়েছিলেন, তাঁরা জনগণের রায়ে পরাজিত হয়েছেন। যে নরেন্দ্র মোদী অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়নি, মানুষের ঠাণ্ডা সহ্য করার ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, সেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলো ঔদ্ধত্যের সঙ্গে পরিবেশ ও জলবায়ুর অনিষ্টকারী নীতি অনুসরণ করে চলেছে। উদাহরণ হিসাবে এখানে উল্লেখ করা যায়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার বাক্সওয়াহায় হীরা খনন প্রকল্পের জন্য আদিত্য বিরলা গোষ্ঠীর মালিকানাধীন এসেল মাইনিং’কে দু’লাখেরও বেশি গাছ কাটার অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আর বন্যপ্রাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির জাতীয় বোর্ড ডেহিং ফাটকি হাতি সংরক্ষিত বনের ৯৮.৫৯ হেক্টার জমি কয়লা প্রকল্পে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। ঐ বোর্ড খনন কাজের জন্য প্রস্তাবিত সালেকি সংরক্ষিত বনের ৫৭.২০ হেক্টার জমি ব্যবহারের অনুমোদন ইতিমধ্যেই দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় বিশ্বের নেতৃবৃন্দের আন্তরিকতা কতটা অসার তা বারবারই উন্মোচিত হয়ে গেছে, তাঁরা ঐতিহাসিকভাবে অধিক নিঃসরণকারীদের দায়বদ্ধ করতে আগ্ৰহী হননি, অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটতে না দেওয়ার নীতির বিকাশ ঘটাতেও তাঁরা অক্ষম হয়েছেন। এখন আমরা যেমন দেখছি, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় সেই খণ্ড খণ্ড নীতি গ্ৰহণের দৃষ্টিভঙ্গি সংকটের সমাধানে সক্ষম হবে না, বিপরীতে তা বিশ্বের দরিদ্র, প্রান্তিক অবস্থানে থাকা ও অসহায় জনগণের জীবনকে সমস্যাসংকুল করে তুলবে।

– এন সাই বালাজি
(লিবারেশন, ডিসেম্বর ২০২২ সংখ্যা থেকে)

খণ্ড-29
সংখ্যা-46